অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসিইউতে
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান এবং হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসক কমিটির সভাপতি সদস্য প্রফেসর ডা. মনিলাল আইচ লিটু যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রফেসর ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে আজ বিকালে এখানে আনা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তিনি চোখেও ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে গেছে। তাকে সুস্থ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মেয়ে রয়া মুনতাসীর সাংবাদিকদের বলেন, “করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ১০ দিন আগে বাবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। আজ করোনাভাইরাসের উপসর্গ স্পষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি আমরা। কাল সকালে সর্বশেষ টেস্টের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাব।”
এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদক একটি বিশেষ প্রতিবেদনের জন্য অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে ফোন করলে তিনি মুগদা হাসপাতালে যাচ্ছেন জানিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধের ওপর অনেক গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবির আন্দোলনে সম্পৃক্ত এই অধ্যাপক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যও দিয়েছেন।
তিনি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন মুনতাসীর মামুন। একই সময়ে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ড এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় আর্কাইভসের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন।