শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমি চলচ্চিত্রের পপি, কোন ব্যক্তি বা সমিতির পপি নই

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ যদিও আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও মানসিকভাবে হতাশ হওয়ার পরেও চুপ থাকতে পারলাম না।  আমি চলচ্চিত্র ও চলচিত্রের মানুষকে শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। আমি একজনকেই দালাল বলে আখ্যায়িত করেছি, বিষয়টি আমি এবং সে উভয়ই জানি, গোটা চলচ্চিত্রের সকলেই জানে
#তাহলে কেন এই চিঠি?
#কে পাঠিয়েছিলো?
#কোন সমিতির চিঠি এটা?
#কার স্বাক্ষর?
#জায়েদ খানের নামে ব্যক্তিগত বা পারসোনাল কোন সমিতির চিঠি এটা?
#কী এবং কার স্বার্থে এই চিঠি?
#এই সমিতির মেম্বার কারা কারা এবং উপদেষ্টা কারা?
শুধু আমি না অনেকেই পেয়েছে এমন চিঠি
আমার প্রশ্ন?
তা হলে কেন সে শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করলো ?

#কে দিয়েছে তাকে এ সাহস, এত বড় অন্যায় বা অপরাধ করার?
অনেক কষ্ট ও শ্রম দিয়ে আজকে আমি পপি হয়েছি, আমার একক নামে বহু সুপার বাম্পারহিট মুভি ফিল্ম ইন্ড্রাস্টিকে উপহার দিয়েছি। ভালো কাজের স্বীকৃতি সরূপ বহুবার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার পেয়েছি।
# শ্রদ্ধেয় ফারুক, আলমগীর, কাঞ্চন, রুবেল, ডিপজল, মিশা, সোহেল রানা ভাইয়েরা, যাদের সাথে আমি সৌভাগ্যক্রমে বহু ছবিতে একসাথে কাজ করেছি তারা কী আমার মত শিল্পীকে সদস্য পদ বাতিলের জন্য চিঠি দিতে বলেছেন?

আমাদের মতো শিল্পীদের অসম্মান করার জন্য বলেছেন আপনারা? সরকার বলেছে?
#তাহলে চিঠিতে তাদের স্বাক্ষর কোথায়? চিঠিতে কার স্বাক্ষর?
তা হলে জায়েদ খান কি বলতে চান? এই সিনিয়ররা চায়, আমাদের মতো শিল্পীরা চলচিত্রের থেকে বিদায় নিক?
শ্রদ্ধেয় আনোয়ারা আন্টি, ববিতা আপা, শাবানা আপা, চম্পা, নতুন, রোজিনা আপুরাসহ মৌসুমি আপু, সানি, রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিব, অমিত হাসান, পূর্ণিমা, নিপুন, মুক্তি, নিরব, সাইমন ও পপিসহ (১৮৪ জাহিদের বাতিলকৃত শিল্পী) এবং আরও অনেক গুণী এবং পরীক্ষিত সম্মানিত সর্বজন স্বীকৃত বহুবার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীরা কী চলচিত্র থেকে চলে যাবে?

শুধু এক জনের নোংরামির কারণে? উনার পছন্দ অপছন্দের কারণে? উল্লেখ্য, যেখানে ৮-১০ বছরেও একটা সুপার হিট দূরে থাক, হিট মুভিও ইন্ড্রস্টিকে দিতে পারেনি…

# সবার মাথায় কাঁঠাল রেখে সিনিয়রদের নাম খারাপ কাজে ব্যবহার, তাদেরকে সামনে রেখে অবলীলায় যা তা করে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য…

শিল্প সমিতির মাত্র ৪০০ সদস্যের মন যে জয় করতে পারেনি- সে লক্ষ মানুষের মন জয় করবে কি দিয়ে? নোংরা রাজনীতিবিদ, পিস্তল, অশোভন আচরণ, মানুষকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি দিয়ে, মিথ্যা কথা দিয়ে, সদস্যপদ খারিজ করে।

যেখানে তার সদস্যপদটা আমি, আমরা বা আমাদের মতো সম্মানিত ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটের কারণে। যে তার জন্মকে অস্বীকার করে, তাকে কি বলে সম্মোধন করা উচিত তা আপনাদের উপরই ছেড়ে দিলাম।

চলচ্চিত্র শিল্প চর্চার জায়গা। মেধা বিকাশের জায়গা, ইতিহাস বলে একজন শিল্পী বিভিন্ন পদে জায়গা করে নিতে পারে। তবে সবার পক্ষে একজন শিল্পী হয়ে ওঠা সম্ভব না।

দর্শকের মন জয় করতে শ্রম ও ভালো কাজ তো লাগবেই, সেক্ষেত্রে নেতা নয়, অভিনেতা হতে হয়। দর্শকদের তো আর সদস্য পদ নেই… বাতিল করবে কি দিয়ে?

শিল্প বা শিল্পীকে ধ্বংস না করে নিজের চরিত্র ঠিক করে শিল্পী হতে চেষ্টা করা উচিত। তবেই চলচ্চিত্রের মানুষ হওয়া যাবে এবং দর্শকপ্রিয়তা পাওয়া যাবে।

একজন শিল্পীর কী চাই- সম্মান স্বীকৃতি আর ভালোবাসা। সর্বোপরি আমি বলতে চাই, আমি চলচ্চিত্রের পপি, আমি সাধারণ জনগণের পপি। কোন ব্যক্তি বা সমিতির পপি নই।

(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)