সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

করোনায় পতন হচ্ছে আমেরিকার, উত্থান চীনের: মার্কিন ব্যবসায়ী

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এখন থেকে চার মাস আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চীনে সাড়ে ৪ হাজারের কিছু বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে এতে।

তবে এই ভাইরাসের ধ্বংসযজ্ঞে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকা। ইতোমধ্যে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে (শনিবার সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত) ১৩ লাখ ২১ হাজার ৭৮৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ৬১৫ জনের।
এই ভাইরাসের চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকরী ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে এর কবল থেকে বাঁচার একটাই পথ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা। আর এটা করতে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন।

তবে এই লকডাউনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি, যা অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব নেতৃত্বই পাল্টে দিতে যাচ্ছে।

এসব বিষয় নিয়ে নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ-কে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমেরিকার বিলিওনিয়ার ব্যবসায়ী, ব্রিজওয়াটার অ্যাসোসিয়েশনের কো-চেয়ারম্যান রে ডালিও। তিনি বলেছেন, এই ভাইরাস পরবর্তী বিশ্ব নেতৃত্বে ব্যাপক পরিতবর্তন আসতে যাচ্ছে। এতে আমেরিকার পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আর উত্থান ঘটবে চীনের।

তার মতে, আমেরিকা বর্তমানে ঋণের স্তুপে চাপা পড়ে আছে। এই ঋণ মেটাতে হলে কিছু দিনের মধ্যেই বিশ্বের এই পরাশক্তিকে ডলার ছাপিয়ে চাপ সামাল দিতে হতে পারে। আর সেটা করা হলেই আমরা আমেরিকান ডলারের পতন দেখতে পাব। এর মূল্য অবিশ্বাস্যভাবে কমে যাবে। এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়বে আমেরিকার অর্থনৈতিক শক্তি। আমেরিকার এখন উচিত শিক্ষা, কার্যনীতি ও আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।

তিনি বলেন, ইতিহাস বলে- সব সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন নির্ভর করে তাদের ঋণ ও মুদ্রার ওপর। ব্রিটিশ এবং ডাচ সাম্রাজ্যের অভিজ্ঞতা এবং তাদের রিজার্ভ মুদ্রার সঙ্গে এর খুবই মিল রয়েছে।

রে ডালিও আরও বলেন, আমেরিকার পতনের চীন সাম্রাজ্যের উত্থান হতে যাচ্ছে। এই উত্থান রক্তপাতের মাধ্যমে নয়, বরং রক্তপাতহীন হতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছে আমেরিকা। কেননা, এই মহাবিপর্যয়ের পর বিশ্ব সম্পদ ও ক্ষমতার পিছনে পড়ে যাবে।

তার মতে, চীন বিগত ১০ বছর ধরে বিশ্ব পুঁজিবাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। তাদের রয়েছে বিপুল রিজার্ভ মুদ্রা। এই রিজার্ভ পর্যায়ক্রমে তাদের সাম্রাজ্যকে বিকশিত করবে।