শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অর্ধকোটি টাকা ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে অনিয়ম ও অর্থ আত্নসাতের দায়ে প্রধান শিক্ষককে অপসারণ

জামালপুর জেলা  প্রতিনিধিঃ জামালপুরের  সরিষাবাড়ী  উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সরিষাবাড়ী  সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনকে  ম্যানেজিং  কমিটি কর্তৃক ছুটি প্রদান করা হয়েছে অপর পক্ষে বিদ্যালয়ের  সহকারী প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান সামাদ কে ভারপ্রাপ্ত  প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল  ছুটির আদেশ প্রদান করেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা।

অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চার সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিগত ২০১৫-২০১৬,২০১৬-২০১৭ ও ২০১৭-২০১৮ অর্থ বৎসরে ৫৮ লাখ ১৪ হাজার ১২ টাকা ০১ পয়সা অনিয়ম,ভূয়া ভাউচার,ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থ  আত্মসাতের অভিযোগ আনীত হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ লা জুন সরিষাবাড়ী সালেমা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ওয়াজেদা পারভীন।সেই সাথে সরিষাবাড়ী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতির পদ ও প্রথম আলো বন্ধু সভা সরিষাবাড়ী উপজেলার সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেন।  যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাত,অভিভাবক ও শিক্ষক কর্মচারীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে আসছেন। এন টি আর সি এ কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক( হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা)  নিভা রাণী পাল এর নিকট থেকে এমপিও এর জন্য ১লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নেন।নিভা রাণী পাল এর নিকট টাকা না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের  অভ্যন্তরীণ কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ধার নিয়ে প্রধান শিক্ষককে দেন যা নিভা রাণী পাল প্রতি মাসে বেতন পেয়ে পরিশোধ করিতেছে।বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী ও অন্যান্য ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী গত তিন অর্থ বছরে তিনি ৫৮ লাখ ১৪হাজার ১২টাকা ০১ পয়সা আত্মসাতের বিষয়টি আনীত  হওয়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা তাকে  ১০দিনের সময় দিয়ে পর্যালোচনাসহ ব্যাখ্যা   প্রদানের নোটিস দেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীন  পর্যালোচনাসহ  সহ ব্যাখ্যার জবাব না দিয়ে লিখিত ভাবে আরও ১০দিন সময়ের জন্য আবেদন করেন পরে সভাপতি তাকে ১০দিনের সময়ের আবেদনটি মন্জুর করে ১০দিনের সময় দেন। ৯ এপ্রিল ম্যানেজিং  কমিটির মিটিং  এ পর্যালোচনাসহ ব্যাখ্যা  দাখিল করেন কিন্তু নোটিশের জবাব সন্তোষ জনক ও বিধি সম্মত না হওয়ায় সর্ব সম্মতিক্রমে  ৯ এপ্রিল বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়  প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদা পারভীনকে অডিট রিপোর্ট  পুনরায় যথাযথ ভাবে পর্যালোচনাসহ ব্যাখ্যা মূলক প্রতিবেদন তৈরী করার জন্য তাকে ছুটি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় উক্ত প্রতিবেদনটি আগামী ৩০.০৪.২০২১ইং  তারিখের ম্যানেজিং  কমিটির সভায় উপস্হাপন করতে ম্যানেজিং  কমিটির সভাপতি কর্তৃক লিখিত পত্রে উল্লেখ করা হয়।পত্রে আরও উল্লেখ আছে নির্ধারিত তারিখে পর্যালোচনাসহ সুনির্দিষ্ট  ব্যাখ্যা উপস্হাপন  করতে ব্যর্থ হলে তাহার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্হা নেওয়া হবে।