মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিপিএড-এর বুক রিভিউ লিখবেন যেভাবে

নিজস্ব সংবাদদাতা : বুক রিভিউ সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ আছে। অনেকেই জানেন না কিভাবে শুরু করতে হয় বইয়ের রিভিউ (বুক রিভিউ)। তাদের জন্যই আজকের এই আয়োজন। জেনে নিন বিস্তারিত-

বুক রিভিউ কি?
এ সম্পর্কে জ্ঞানী ও বিদগ্ধ ব্যক্তি, কবি, সাহিত্যিহিকগণ বিভিন্নভাবে ব্যাখা দিয়েছেন। 

একটা বই পড়ার পর বইটিতে কি কি আছে কিংবা কতটি অধ্যায়, পৃষ্ঠা আছে। কোন অধ্যায়ে কি কি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায়ে শিক্ষণীয় কি আছে কিংবা অধ্যায়গুলো থেকে কি কি নতুন জ্ঞান লাভ করলাম, বইটি কে লিখেছেন, কোন প্রেক্ষাপটে লিখেছেন, বইটি প্রকাশ, মুদ্রণ কে করেছেন, বইটির মূল্য কত, বইটি কেন পড়া দরকার, বইটি কত সালে প্রকাশিত হয়েছে, বইটির ভালো ও মন্দ দিক কি ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গিকে পাঠকের সামনে তুলে ধরাই বুক রিভিউ বা পুস্তক পর্যালোচনা। 

ডিপিএড এর বুক রিভিউ কি রকম হবে বা কি কি লিখতে হবে?

ডিপিএড এর বুক রিভিউ এ কোন পয়েন্টে কি কি লিখতে হবে তা ৯ নভেম্বর ২০২০ তারিখে স্বাক্ষরিত নেপ এর নির্দেশনা পত্র দেখলে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। কারণ পত্রে বুক রিভিউ সম্পর্কে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ আছে। প্রতিটি পয়েন্টের কয়েকটি করে সাব-পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়েছে। যেগুলোর আলোকে ডিপিএড এর বইগুলোর বুক রিভিউ বা পুস্তক পর্যালোচনা করতে হবে।

বুক রিভিউ কি সমগ্র বইয়ের উপর করতে হবে?
না। নিজ পিটিআইয়ের সম্মানীয় ইন্সট্রাক্টরগণ ইনকোর্সের জন্য যে অধ্যায় নির্দিষ্ট করে দিবেন সেই অধ্যায়গুলোর উপরেই বুক রিভিউ করতে হবে? 

কি কি আলোচনা করবো?
মূল আলোচনায় প্রতিটি অধ্যায় এ কোন কোন বিষয় আলোকপাত করা হয়েছে তা তুলে ধরা, আলোকপাতকৃত বিষয়গুলোর মূল অংশ তুলে ধরা। এভাবে নিজ পিটিআইয়ের সম্মানীয় ইন্সট্রাক্টরগণ ইনকোর্সের জন্য যে অধ্যায়গুলো দিয়েছেন সেগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরতে হবে। ধরা যাক কোন বইয়ের ১ থেকে ৪ পর্যন্ত অধ্যায় ইনকোর্সের জন্য দেওয়া থাকলে আলোকপাতটি এভাবে করা যেতে পারে- 

প্রথম অধ্যায়
এই অধ্যায়ে কোন কোন বিষয়গুলো আছে তা তুলে ধরতে হবে। এরপর মূল অংশগুলো লেখা যেতে পারে।
এভাবে পর্যায়ক্রমে চারটি অধ্যায়ের আলোকপাত করা যেতে পারে।

অধ্যায়ভিত্তিক আলোকপাত শেষে লব্ধ জ্ঞান সম্পর্কে লেখা যেতে পারে। 

মনে রাখতে হবে বিষয়বস্তর পর্যালোচনার অংশটি হবে বিষয়জ্ঞান (এসকে) ও শিক্ষণবিজ্ঞান (পিকে) এর জন্য ৭০০-৮০০ শব্দের মধ্যে এবং অন্যান্য বিষয় যেভাবে বলা আছে সেভাবে ভাগ করে লিখতে হবে।

কোন পেজে/কাগজে লিখবো?

এক্ষেত্রে A4 সাইজের 80gsm কাগজ ব্যবহার করাই উত্তম এবং কাগজের মাত্র একপাশে লিখতে হবে। অন্য পাশ খালি থাকবে। অবশ্যই লেখা শুরুর আগে কাগজে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে মার্জিন করে নিতে হবে।

বুক রিভিউ এবং প্রশ্ন তৈরি ও উত্তর লিখন কি একখানেই হবে?
কখনই না। বুক রিভিউ এবং প্রশ্ন তৈরি ও উত্তর লিখন অবশ্যই আলাদা আলাদা লিখতে হবে। 

বুক রিভিউ এর উপসংহার এ কি লিখবো?
এ সম্পর্কে ৯ নভেম্বর নেপ প্রদত্ত পত্রে স্পষ্ট করে বলা আছে। উক্ত তারিখের পত্রটি ভালো করে দেখে নিতে হবে।

কারো আশায় বসে না থেকে, দুশ্চিন্তা না করে, অন্যের লেখা দেখে না করে নিজে করুন। কারণ কারো লেখার সাথে মিলে গেলে শ্রম পন্ড হয়ে যাবে। কেননা, কারো লেখার সাথে মিলে গেলে তা বাতিল হবে এবং পুনরায় লিখতে হবে। 

লেখা শুরু করলেই শেষ হয়ে যাবে। কারণ সময় খুবই স্বল্প। দেখতে দেখতেই সময় শেষ হয়ে যাবে। বুক রিভিউতো শুধু নয় সাথে আছে প্রশ্ন তৈরি ও উত্তর লিখন। তাই কালক্ষেপন না করাই ভালো। বুক রিভিউয়ে সৃজনশীলতা, শব্দ, বাক্যের উপস্থাপন, যুক্তি তর্ক সব বিষয় লক্ষ্য রেখেই আলোকপাত করা জরুরী। কারণ যা কিছুই লেখা হোক না কেন পাঠক মাত্রই ভালো জিনিসের কদর করে।

যদি বুঝতে সমস্যা হয় তবে নিজ পিটিআইয়ের সম্মানীয় ইন্সট্রাক্টরগণের স্মরণাপন্ন হোন এবং স্যারগণের নির্দেশনা অনুসরণ করুন। এটাই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় যা বুঝেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।  

নিজে লিখুন। অন্যকে দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখুন। চেষ্টায় সব হয়।