মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের ছয় সদস্যসহ সাত জন গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা : খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইন সম্মেলনের প্রচারপত্র বিলির সময় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের ছয় সদস্যসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নর্দ্দা, ভাটারা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের মিডিয়া উইং এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইন সম্মেলনের প্রচারপত্র বিলির সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরিরের ৬ সক্রিয় সদস্য এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এটিইউ’র একটি দল ১৫ অক্টোবর বিকাল থেকে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর নর্দ্দা, ভাটারা ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। হিযবুত তাহরিরের সদস্যরা হচ্ছে— মো. সোহেল (২৯), নুর মোহাম্মদ ওরপে অরুণ ওরপে নুর (৩০), ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ (২১), অর্ণব হাসান (২১), সাইফুর রহমান বাবর (৩০) এবং নূর মোহাম্মদ শাকিল (২৬)।

গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট, ৩ টি বাটন মোবাইল সেট ও অনলাইন সম্মেলনের ২৬টি পোস্টার জব্দ করা হয়। গ্রেফতার সদস্যরা খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত প্রচারণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।অপর একটি অভিযানে ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে অনলাইনে উগ্রবাদ প্রচার ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে রাজধানীর গাবতলী বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে মো. সোহেল রানা ওরফে সাইদুল ইসলাম সোহেল (২৬), নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এক সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি বাটন মোবাইল সেট, ছয়টি বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ড, একটি পেনড্রাইভ ও পিডিএফ আকারে বিভিন্ন উগ্রবাদী ও উসকানিমূলক কনটেন্ট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার এটিবি সদস্য ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত অনলাইন প্রচারণাসহ রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উগ্রবাদী কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ফেসবুকে গোপনে গ্রুপ খোলা ও বাংলাদেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করাসহ দেশের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহ ধ্বংস ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে, দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে গ্রেফতার হিযবুত তাহরিরের আসামিদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে একই অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে দারুস সালাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।