বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমেরিকায় টাঙ্গাইলের সফি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু

মরণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছোট ভাইয়ের পর এবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন বড় ভাই টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনী বাজারের বাসিন্দা আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রবাসী সফি হায়দার খান (৫৪)। প্রায় তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে ম্যানহাটানের মাউন্টসিনাই হাসপাতালেই তিনি মারা যান।জানা যায়, সফি হায়দার খান (৫৪) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত (৩০ মার্চ) থেকে ম্যানহাটানের মাউন্টসিনাই হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টাঙ্গাইলবাসীদের সামাজিক সংগঠন টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএ’র সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ খান রাজেসের বড় ভাই। এর আগে তার ছোট ভাই সাইফুর হায়দার খান আজাদ (৪৭) করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত (৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটে জ্যামাইকা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।মোহাম্মদ খান রাজেস জানান, অসুস্থ হয়ে তার ভাই সফি হায়দার খান বিগত ২১ দিন ধরে ম্যানহাটানের মাউন্টসিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে তার করোনা ভাইরাস পজেটিভ সনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা চললেও শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে (২১) ও এক মেয়ে (১৩) সহ আরেক আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নিউইয়র্কের রীচমন্ড হিলে সপরিবারে বসবাস করছিলেন।এদিকে মরহুম সফি হায়দার খানের স্ত্রী মাসুমা পারভীন এলি তার ছোট মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে আটকা পড়েছেন। পারিবারিক প্রয়োজনে তিনি দেশে আসার পর করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতিতে তার নিউইয়র্ক ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ফলে চরম অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর সময়ও স্বামীর পাশে থাকতে পারলেন না স্ত্রী এলি। বাবাকে দেখতে পেলো না আদরের কন্যা।মরহুম সফি হায়দার খানের স্ত্রী এলির বাসা টাঙ্গাইল পৌর শহরের পাল পাড়া এলাকায়।মোহাম্মদ খান রাজেস আরোও জানান, তারা ৫ ভাই ও এক বোন নিউইয়র্কে বসবাস করেন। মৃত্যুবরণকরী তার দুই ভাই নিউইয়র্ক সিটির রিচমন্ডহিলে দুই ফ্যামিলি একই বাসায় বসবাস করতেন। মোহাম্মদ খান রাজেসরা টাঙ্গাইল শহরের ছয়আনী বাজারের স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার চকতৈল।