বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এক হাজার আটশ‍‍ স্প্লিন্টার আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ রাতে বাসার সবাই যখন ঘুমিয়ে, আমি তখন সারারাত জেগে থাকি। আমার শরীরে থাকা ভয়াবহ সেই ২১ আগস্টের গ্রেনেডের স্প্লিন্টারগুলো আমাকে ঘুমাতে দেয় না। সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। করোনার কারণে কোথাও চিকিৎসা নিতে যেতেও পারছি না। এক হাজার আটশ’ স্প্লিন্টার আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না। তবে একজন খুব অন্তর দিয়ে বোঝেন। তিনি মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার কারণেই আমরা গ্রেনেড হামলায় আহতরা এখনও বেঁচে আছি।’

কথাগুলো বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী মাহবুবা পারভিন। গ্রেনেড হামলাস্থলে যেভাবে তিনি পড়েছিলেন অনেকেই মনে করেছিলেন মারা গেছেন। তার সেই ছবিটি পরিনত হয়েছে সেই মামলার প্রতীকী ছবিতে।

মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মাহবুবা বলেন, ‘আহতদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলেই আমরা এখনও কিছুটা সুস্থ রয়েছি। তিনি আমাকে সুন্দরভাবে থাকার জন্য ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। যতদিন আমি বেঁচে থাকব তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইব। তার মতো এমন মমতাময়ী নেত্রী আছেন বলেই আমার মতো একজন কর্মী বেঁচে আছে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনীতি করেছি। এখনও দলের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব ক্ষেত্রে যেতে পারি না।’

মাহবুবা পারভিনের ক্ষোভ সাভারের স্থানীয় নেতাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিবিদরা আমাকে তেমন মূল্যায়ন করেন না। এতে অবশ্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ আমার পাশে আছেন নেত্রী। যেখানে নেত্রীই আমার খোঁজখবর রাখেন, সেখানে অন্য নেতারা কে, কী করল তা নিয়ে আফসোস করি না।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যদি নেত্রীর কিছু হয়ে যেত তাহলে আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। রচনা হতো অন্য একটি বাংলাদেশের। নেত্রী বেঁচে আছেন বলেই আজ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত উন্নয়নের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোলমডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে।