বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে বাজেটে বরাদ্দ দেয়ার দাবি

এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ফোরামের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও  এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র  মোঃ নজরুল ইসলাম রনি বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক -কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন থেকেই বেতন বৈষম্যের শিকার। শিক্ষকরা বর্তমানে ২৫ শতাংশ ঈদবোনাস পেয়ে আসছেন। যা দীর্ঘ ১৬বছরেও পরিবর্তন হয়নি।করোনার প্রভাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আজ দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ,ছাত্র বেতন বন্ধ।শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠান থেকে যে সামান্য সম্মানী ও ভাতা পেতেন তাও বন্ধ। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে ছাত্র ,শিক্ষক অভিভাবক ও রাষ্ট্র সবাই সুফল পাবে বলে মনে করেন শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম রনি।
সচিবের কাছে দেয়া আবেদনে তিনি বলেন,এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র ১০০০টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। যা দীর্ঘ ১১বছরেও পরিবর্তন হয়নি।।বহুদিন থেকেই সরকারি নিয়মে ঈদবোনাস ও বাড়ি ভাড়া দাবি করে আসছি।কিন্তু শিক্ষক সমাজের ন্যায্য দাবি পূরণ হচ্ছে না।বর্তমানে করোনার এ দুঃসময়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আর্থিক সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে।এমপিও’র সামান্য বেতনে তাদের জীবন যাপন এখন খুব কষ্টসাধ্য ও দুঃসহ।এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে প্রণোদনাও দেয়া হলো না।শিক্ষকরা ত্রাণসামগ্রীও চাইতে পারেন না।রেশনিং প্রথাও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চালু হয়নি।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূর করণে আসন্ন ২০২০-২০২১ অর্থ বাজেটে ২৫ শতাংশ ঈদবোনাসের পরিবর্তে সরকারি নিয়মে শতভাগ ঈদবোনাস ও ১০০০টাকার পরিবর্তে সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া এবং এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণায় প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখতে শিক্ষা সচিবের সহযোগিতা কামনা করেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।