বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালকে স্বাস্থ্য সরঞ্জাম দিল মার্কিন দূতাবাস

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ধারাবাহিক সহায়তার অংশ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) দিয়েছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার এবং যুক্তরাষ্ট্র মিলিটারির ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের প্রতিনিধিরা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ইবনে সফি আব্দুল আহাদের কাছে এসব পিপিই হস্তান্তর করেন।

এসব সরঞ্জামাদির মধ্যে রয়েছে ৭০০টি কেএন-৯৫ সার্জিক্যাল মাস্ক, ২০০ মিলির ৫০০ বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৫০০ জোড়া সার্জিক্যাল গ্লাভস, ৩০০টি বিপজ্জনক পদার্থ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত হ্যাজার্ডাস ম্যাটেরিয়াল স্যুট, ৫০টি মুখমণ্ডল সুরক্ষার শিল্ড, ৫০ পাউন্ড ব্লিচ পাউডার, ১০টি ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, ছয়টি জীবাণুনাশক স্প্রেয়ার এবং তিনটি রোগী দেখার মনিটর/পালস অক্সিমিটার মেশিন। এসবই বাংলাদেশি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে স্থানীয়ভাবে কেনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় মার্কিন দূতাবাস।

মার্কিন দূতাবাস জানায়, স্থানীয় জনগণের মধ্যে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধপূর্বক রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে কর্মরত কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এই ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দিতে পেরে দূতাবাস গর্বিত বোধ করছে। এই হাসপাতালের সম্মুখসারির গুরুত্বপূর্ণ কর্মীরা প্রাথমিক সেবাদানকারীদের সাথে কাজ করছে এবং প্রতিদিন অসাধারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে ধারাবাহিকভাবে পিপিই বিতরণ পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এটি। গত ১১ মে বিতরণের প্রথম ধাপে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কাছে পিপিই ও চিকিৎসা সরঞ্জাম হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভিড-১৯ মোকাবিলার প্রস্তুতি ও কার্যক্রম গ্রহণে বাংলাদেশ সরকারের চলমান উদ্যোগগুলোর আওতায় দ্রুত রোগনির্ণয় উন্নত করা, জ্ঞান বৃদ্ধি, রোগ সম্পর্কিত গুজব ও ভুল ধারণা দূরীকরণ এবং বীরত্বপূর্ণ সম্মুখসারির কর্মীদের সহায়তা প্রদানে ২৫.৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে।

এতে বলা হয়, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বিভিন্ন কার্যক্রমের আওতায় চিকিৎসাবিষয়ক ঘাটতি চিহ্নিত করে সেগুলো পূরণে বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবিড় সহযোগিতার ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে কাজ করছে। এরই অংশ হলো ঘোষিত কোভিড-১৯ চিকিৎসাসেবা কেন্দ্র এবং প্রাথমিক সেবাদানকারীদের জন্য পিপিই ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সারাবিশ্বে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতে এবং মানবিক, অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে বিশেষত সরকার, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এই মহামারি মোকাবিলায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারের অধিক অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিগত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে দেয়া এক বিলিয়ন ডলারের অধিক স্বাস্থ্য সহায়তার ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত ২৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা সারাদেশে রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যয় হবে। এই অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘস্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে।