বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার প্রভাবে দেশে খাদ্য সংকট হবে না, আশা কৃষিমন্ত্রীর

নিজস্ব সংবাদদাতা : কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় দীর্ঘমেয়াদি কী প্রভাব পড়বে তা বলা মুশকিল। তবে বাংলাদেশ সরকার করোনা মোকাবিলায় দ্রুত সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ফলে খাদ্য উৎপাদনের ধারা বজায় আছে। আশা করা যায়, করোনার প্রভাবে দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সংকট হবে না।

মন্ত্রী শুক্রবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনে অনলাইন ভাষণে এসব কথা বলেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আব্দুর রৌফ, এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ৩৬তম সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজনের বিষয়ে চীন, ভারত, ভুটান, ইরান, তিমুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও কম্বোডিয়া সরাসরি সমর্থন দেয়। অন্য সদস্য দেশগুলো সম্মতি প্রদান করে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার আঞ্চলিক সম্মেলন একটি আনুষ্ঠানিক ফোরাম, যেখানে সদস্য দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রীরা এবং অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা খাদ্য ও কৃষিক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ এবং সমাধানের বিষয় নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন।

তিনি আরও বলেন, গত ৪০ বছরে কৃষিক্ষেত্র ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিশেষত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, আবাদযোগ্য জমি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার পরিমাণ বাড়ার চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশের এই অর্জন অন্য সদস্য দেশগুলোর জন্য রোল মডেল ও উদাহরণ। এ নিয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী জানান, করোনার কারণে ভুটান ৩৫তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ১ থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজন করেছে। দুই বছর পর পর এই আঞ্চলিক সম্মেলন হয়। এতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি সদস্য দেশের মধ্যে ৪১টি দেশের মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি খাত, সিভিল সোসাইটি, একাডেমিয়া এবং খাদ্য ও কৃষি খাতের টেকনিক্যাল এপপার্টসহ চার শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

এবারের এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের চেয়ারপারসন ছিলেন ভুটানের কৃষি ও বনমন্ত্রী লিওনপো ইয়েশি পেনজর। এফএওর মহাসচিব ডংইয়ু কিউসহ সদস্য দেশগুলোর কৃষিমন্ত্রীরা সম্মেলনে অংশ নেন।