শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ‍‍অক্সফোর্ডের গবেষকরা`ইনহেলার ভ্যাকসিন‍‍`র সুখবর দিলেন

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। বিশ্বজুড়ে চলছে শতাধিক গবেষণা। এর মধ্যে এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। বর্তমানে তাদের প্রস্তুতকৃত নমুনা ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্যায়ে আছে। গবেষকরা বলছেন, আগামী মাসেই এটি ইনহেলার আকারে পাওয়া যেতে পারে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পারসোনালাইজড মেডিসিনের অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল সম্প্রতি এক অনলাইন বক্তব্যে এ কথা বলেন। তারা যে কভিড–১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করছেন, তা কাজ করবে বলে গবেষকেরা ৮০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী। সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের শুরুতেই ভ্যাকসিনটি ইনহেলার আকারে বাজারে আসতে পারে।

অধ্যাপক হিলের মতে, সংক্রমণের হার খুব বেশি কমে গেলে এই ভ্যাকসিনের আগমনে কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে আমরা ধারণা করছি, যে আগস্টের প্রায় কাছাকাছি হতে পারে এই ভ্যাকসিনের আগমনের সময়।

ভ্যাকসিনটি ইনহেলার আকারে বাজারে আসতে পারে জানিয়ে অধ্যাপক হিল বলেন, মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান  বিলিয়নেয়ার বিল গেটস এই ভ্যাকসিন তৈরির প্রজেক্টে গুরুত্বপূর্ণ তহবিল দিয়েছেন।

এর আগে অধ্যাপক হিল সতর্ক করেছিলেন, যুক্তরাজ্যে আক্রান্তের হার দ্রুত কমে গেলে গবেষণা প্রক্রিয়ার গতিও কমে যাবে। যদি খুব কম সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তবে ওষুধের পরীক্ষা করে দ্রুত নিখুঁত পর্যালোচনা করা যাবে না। ভ্যাকসিন কার্যকর কি না, তা বলা যাবে না।

এপ্রিলে ১০ হাজার ২৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

যুক্তরাজ্যের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিশ্চিত করেছে, ভ্যাকসিন কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলেই তারা ওই ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ তৈরি করবে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা যুক্তরাজ্যে ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী পাস্কাল সারিওট বলেন, তাদের তৈরি ‘এজেডডি১২২’ ভ্যাকসিনটি কার্যকর কি না, আগস্টের মধ্যেই জেনে যাবেন বলে আশাবাদী তিনি। সূত্র- ডাবলিন লাইভ।