বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

করোনা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে বিসিবি

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর নিশ্চিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিনটা ম্যাচ খেলতে এ মাসের শেষ সপ্তাহে কলম্বোর উদ্দেশে উড়াল দেবেন টাইগাররা। ২৪ অক্টোবর সিরিজের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াতে পারে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের চোখ এখন শ্রীলংকায়। করোনা ভাইরাসপরবর্তী এটাই তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। মুমিনুল, মুশফিকরা ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া। এ সিরিজকে তারা পাখির চোখ করেছেন। সে লক্ষ্যেই এখন একক অনুশীলনে নিজেদের প্রস্তুত করছেন।

শ্রীলংকা সফর সামনে রেখে বিসিবি এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। দল নির্বাচনের পাশাপাশি করোনা ভাইরাসকে নিয়ে বেশি ভাবতে হচ্ছে। বৈশ্বিক এ মহামারী ভাবনায় ফেলেছে। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বাসায় গিয়ে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়েছে। একমাত্র সাইফ হাসানের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে নির্বাচকরা মনে করছেন, ‘শেষ দিকের টেস্টগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাকিরা নেগেটিভ মানেই যে তারা সবাই শ্রীলংকা যাচ্ছে এটা কিন্তু এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। শ্রীলংকাগামী বিমানে চড়ার আগেও খেলোয়াড়দের করোনা টেস্ট করানো হবে। শেষের দিকের টেস্টগুলো তাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ বিসিবিও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান আকরাম খান জানিয়েছেন, কোভিডকে যতটা সহজ মনে করা হচ্ছে ততটা সহজ নয়। অনেক বড় ট্যুর হওয়ার আগ থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে শ্রীলংকা যাওয়ার লক্ষ্য তাদের।

বিসিবির তত্ত্বাবধানে দেশের পাঁচ ভেন্যুতে নিয়মিত একক অনুশীলন করছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। শ্রীলংকা সফরের আগে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি। ঢাকায় ইতোমধ্যে চলে এসেছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক এবং পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলেও তারা শিষ্যদের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। দল নিয়েও নির্বাচকদের সঙ্গে কোচদের কথা হয়েছে। ২০-২২ সদস্যের প্রাথমিক দল শ্রীলংকায় যাবে। তাদের সঙ্গে একই বহরে যাবে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলও। জাতীয় দলকে অনুশীলনে সাহায্য করবে এইচপি দল।

বিসিবির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, সবশেষ সিরিজের দলে থাকা খেলোয়াড়রা শ্রীলংকা সফরের দলে প্রাধান্য পাবে। মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশ দল ছিল ১৬ জনের। ওই দলে থাকা একমাত্র সাইফ হাসানের করোনা পজিটিভ এসেছে। তবে দলে যারাই সুযোগ পান না কেন, খেলোয়াড়দের প্রত্যেকেই শ্রীলংকা সফরকে টার্গেট করেছেন। তারা মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে চেয়েছেন। দিন যত ঘনিয়ে আসছে সবার মধ্যে বাড়তি একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে।

পাশাপাশি একটা শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছে। শেষ মুহূর্তে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তো করোনা ভাইরাস? এখনো যে অনেকটা পথ বাকি। আরও বেশ কয়েকবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা দিতে হবে। শ্রীলংকা গিয়েও করোনা টেস্ট, কোয়ারেন্টিন সব কিছু মেনে চলতে হবে। তাই মাঠে নামতে না পারার আগ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের মনে একটা ভয় থেকেই যাচ্ছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।