বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কোভিড-১৯ পুঁজি করে স্ক্যামার ঠেকাতে নতুন প্রকল্প গুগলের

কোভিড-১৯ মহামারীকে পুঁজি করে গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে বা স্ক্যাম ছড়িয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা বাড়ছে দ্রুত গতিতে। গ্রাহকের আতঙ্ক এবং অনিশ্চয়তাকে কাজে লাগাচ্ছে স্ক্যামাররা। স্ক্যামারদেরকে শনাক্ত ও প্রতিহত করতে বৃহস্পতিবার ‘স্ক্যাম স্পটার’ নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু করেছে গুগল।

গ্রাহক যখন সন্দেহজনক কোনো কল বা বার্তা পাবেন সেটি স্ক্যাম কি না, তা শনাক্ত করতে বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দেন, সেগুলো সহজ করে তিনটি নিয়মের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে এই প্রকল্প– খবর আইএএনএস-এর।

নিয়ম তিনটি হলো, “এর গতি কমিয়ে দিন, শনাক্ত করুন ও থামিয়ে দিন! কাউকে পাঠাবেন না।”

ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) তথ্যমতে, ২০১৯ সালে স্ক্যামের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এসেছে।

আইএএনএস বলছে, জরুরি ভিত্তিতে বকেয়া কর পরিশোধে, ভুয়া প্রতিযোগিতার বিজয়ী বা গিফট কার্ডের সাজানো গল্প শুনিয়ে প্রতি মিনিটেই গ্রাহকের ওয়ালেট এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে হাপিশ হচ্ছে তিন হাজার ছয়শ’ মার্কিন ডলার।”

গুগল বলছে, “বেশি চাপ দিয়ে কোনো ফোন কল বা উত্তেজনাপূর্ণ বার্তা অনেকের বিবেচনাকেই ফাঁকি দিতে পারে, বিশেষভাবে গ্রাহক যখন মানসিকভাবে ভঙ্গুর অবস্থায় আছেন তখন।”

স্ক্যামস্পটার ডটর্গ ডোমেইনে নতুন একটি ওয়েবসাইটও চালু করেছে গুগল।

“আমরা যদি শিখতে পারি কীভাবে দুষ্কৃতিকারীদের শনাক্ত করতে হয়, আমরা এই সময়গুলো মূল্যবান মুহুর্তের জন্য কাজে লাগাতে পারবো।”