শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্রাইস্টচার্চের সেই ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে উইলিয়ামসনকে যা বললেন তামিম

ফ্যাফ ডু প্লেসিস, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির পর অতিথি ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক তারকা, পেস কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম। তামিম ইকবালের সর্বশেষ ফেসবুক লাইভে আজ (বৃহস্পতিবার) অতিথি ছিলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। সেখানেই আলাপের এক পর্যায়ে উঠে আসে ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে সেই ভয়ানক সন্ত্রাসী হামলার কথা। যেখানে মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫০ জনের অধিক মুসলিম এবং অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।

ক্রাইস্টচার্চের সেই ভয়ানক ঘটনার পর পুরো বিষয়টা যেভাবে সামাল দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের সরকার, তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের মানুষ, তার স্মৃতি যেন এখনো তরতাহা তামিম ইকবালের মনে। সেটাই তিনি উল্লেখ করলেন কেন উইলিয়াসমনের কাছে।

তামিমের ফেসবুক আড্ডার একদম শেষ দিকে ক্রাইস্টচার্চের সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে কিউই অধিনায়কের মাধ্যমে নিউজিল্যান্ডের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তামিম বলেন, ‘কেন, ২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে যা হয়েছে, সেটি বিস্তারিত বলছি না। তবে ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের সবাই আমাদের যেভাবে দেখাশোনা করেছে, খোঁজ-খবর নিয়েছে তা আজীবন মনে রাখার মতো। নিউজিল্যান্ডের মানুষের ভালোবাসা আমাদের পুরো দল সব সময় মনে রাখবে।’

‘তোমাদের প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই ছিলেন অসাধারণ। সেই সময়ে তোমরা যা করেছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।’

উইলিয়ামসনস বলেন, ‘ঘটনাটা ছিল ভয়ংকর। তোমরা যারা ঘটনার কাছে ছিলে, ভয়ানক অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে গিয়েছ তা আমাদের পুরো দেশের মানুষকেই নাড়িয়ে দিয়েছিল। চরম দুঃখজনক সময় ছিল তা।’

গত বছরের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে তৃতীয় টেস্টের আগেরদিন ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামের এক অস্ট্রিয়ান নাগরিক। এর একটি মসজিদে (আন নুর জামে মসজিদ) নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। মসজিদে যেতে বিলম্ব হওয়ায় অল্পের জন্য তারা হামলা থেকে রক্ষা পান।