মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গবেষণায় লেখা চুরি: ঢাবির দুই শিক্ষকের সাজা নির্ধারণে ট্রাইব্যুনাল গঠন

নিজস্ব সংবাদদাতা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষকের গবেষণায় অন্যের লেখা চুরি করে বসানো বা প্লেজারিজমের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের শাস্তি কী হবে তা নির্ধারণ করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। 

বুধবার এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিন বছর আগে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে প্লেজারিজমের অভিযোগ ওঠে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লেখা চুরির প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু কোনও শাস্তির কথা উল্লেখ করেনি।

বুধবার সিন্ডিকেট এই প্লেজারিজমের অভিযোগে কী শাস্তি দেওয়া যায়, তা নির্ধারণ করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। ট্রাইব্যুনাল যে রিপোর্ট দেবে তা আবার সিন্ডিকেটে পাস হবে। 

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পেয়েছে মর্মে সিন্ডিকেটে রিপোর্ট পেশ করে। পরে সিন্ডিকেট শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের  নির্দেশ দেয়।’

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষক মাহফুজুল হক মারজানের লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ আর্টিকেলের ৮৯, ৯০ ও ৯১ পৃষ্ঠায় এডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম’-এর ৫, ৬, ৬৬, ৬৭, ৬৮ এবং ১১৯ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে কপি করা হয়েছে।

এর আগে অভিযোগ ওঠে, ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি আর্টিকেল থেকে সামিয়া রহমান ও মারজান লেখা চুরি করেছেন। ১৯৮২ সালের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’র ৪ নম্বর ভলিউমের ১৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ফুকোর এই আর্টিকেলটি প্রকাশিত হয়েছিল। সামিয়া ও মারজানের আর্টিকেল ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ গত বছর ডিসেম্বরে ঢাবির সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়।