শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলচ্চিত্র পরিবারের নানা আয়োজন নায়করাজের স্মরণে

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। চলচ্চিত্র শিল্পে প্রায় অর্ধশতাব্দী পার করেন তিনি। ভক্তদের কাছে হয়ে উঠেন ‘নায়করাজ’। বলা চলে বাংলা চলচ্চিত্রের একটা অধ্যায়ের নাম নায়করাজ রাজ্জাক। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট অসংখ‌্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি।

আজ তার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতিসহ অন্যান্য সংগঠন। এছাড়া তার পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ মাহফিল ও এতিমদের ভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সকালে বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন পরিচালক ও শিল্পী সমিতি। এছাড়া কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, এফডিসিতে তার প্রতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোসহ নানা আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি৷

পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অপূ্র্ব রানা বলেন—চলচ্চিত্রে রাজ্জাক ভাইয়ের অবদান অনেক। আজ তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে পরিচালক সমিতি। সকালে পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে বনানী কবর স্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন—নায়করাজ আমাদের চলচ্চিত্রের মাথার মুকুট ছিলেন। তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন। চলচ্চিত্র ও শিল্পী সমিতিতে তার অবদান ভোলার মতো নয়। আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি তাকে৷ তার জন্য দোয়া করছি, তিনি যেন শান্তিতে থাকেন।

তিনি আরো বলেন—শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে বেলা ১২টার দিকে বনানী কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবো। আজ শুক্রবার এফডিসি বন্ধ তাই আগামীকাল (২২ আগস্ট) শিল্পী সমিতিতে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করবো। এছাড়া দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করবো।

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের দক্ষিণ কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন রাজ্জাক। কিশোর বয়সে মঞ্চনাটকে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৪ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকা এসে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন রাজ্জাক।

১৯৭৭ সালে ‘অনন্ত প্রেম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। রাজ্জাক প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সেরা অভিনেতা হিসেবে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৪ সালে ‘কার্তুজ’ সিনেমায় তাকে শেষবার দেখা যায়।