শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের ‘স্বপ্ন’ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংকট কাটাতে পণ্য কিনছে

টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র বাজার এলাকার আশ পাশে বসবাস করে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এসব মানুষদের জীবন ধারণের একমাত্র ভরসা কৃষিপণ্য।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রাদুর্ভাবে থেমে যায় তাদের সুখের জীবন। উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য বর্তমান সময়ে পাচ্ছিলেন না তারা। এখানের মানুষজনরা অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে। কলা, লেবুসহ নানান কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন করলেও মিলছিল না পণ্যের সঠিক দাম। ওই এলাকার মধ্যে জাঙ্গালিয়া ও নয়নপুর গ্রামের পাশে একমাত্র জলছত্র নামের বাজার বন্ধ এক মাসের বেশি সময়। এরইমধ্যে অনেক কলাচাষীদের কলা পচতে শুরু করেছে।

এসব তথ্য দেন সেখানের বেড়িবাইদয়ের ইউপি মেম্বার ও বাগান মালিক সনজু সংমা। তার স্ত্রী বিনীতা নকরেকও কৃষিপণ্যের চাষ করেন। সনজু স্বপ্ন’র প্রতিনিধি হয়ে সেখানের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে কথা বলে ন্যায্য মূল্যে কলা ও লেবু বিক্রির ব্যবস্থা করে দেন।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, গত তিন বছর ধরেই আমরা নিয়মিত আদিবাসীর চাষাবাদ করা বিভিন্ন পণ্য কিনছি। কিন্তু এবারের সংকটটা ছিল ভিন্ন রকম। করোনার প্রাদুর্ভাবে তাদের পণ্যগুলো কেউ বাজারে কিনতে পারছিল না। কারণ তাদের গ্রামের পাশের জলছত্র বাজারটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকাতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল তাদের। তাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর আমি অফিসকে জানাই। এরপর অফিসের সিদ্ধান্তেই তাদের কাছ থেকে পণ্য কেনা শুরু করেছি আমরা। ‘স্বপ্ন’ এভাবেই দু:সময়ে এবার আদিবাসী চাষীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে কয়েকদিন আগে টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বগুড়া, যশোর সহ দেশের অনেক জায়গায় কষ্টে থাকা কৃষক থেকে পণ্য কিনেছে স্বপ্ন। ‘স্বপ্ন’র নির্বাাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির আদিবাসীদের কাছ থেকে পণ্য কেনার প্রসঙ্গে বলেন,ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের এই সংকটে তাঁদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে ‘স্বপ্ন’। যেখানেই সংকট আর বিপর্যয় কৃষকের জন্য কাল, সেখানেই পৌঁছে যাবে ‘স্বপ্ন’।