বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলে মরণ নেশা ফ্রি ফায়ার ও পাবজি গেমসে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে দিন দিন ইন্টারনেট ফাইটিং ফ্রি ফায়ার গেমসে ঝুঁকছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। করোনায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস সময়ে এ গেমসে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

জানা গেছে, টাঙ্গাইলের উড়তি বয়সের শিক্ষার্থীরা ও পুরো যুব সমাজ দিন দিন ফ্রি ফায়ার নামক গেমের নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। যে সময় তাদের ব্যস্ত থাকার কথা নিয়মিত পড়ালেখাসহ শিক্ষা পাঠ গ্রহন নিয়ে ও খেলার মাঠে ক্রীড়া চর্চার মধ্যে, সেখানে তারা ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে জড়িয়ে পড়ে নেশায় পরিণত করছেন। ৭ বছর থেকে ২২ বছরের উড়তি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে এসব গেইমে আসক্ত হচ্ছেন। এসব বিদেশী গেম থেকে শিক্ষার্থী বা তরুণ প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে না পারলে বড় ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফায়ার গেমসে অনুরাগী নিশাদ জানায়, ‘ প্রথমে তার কাছে ফ্রি ফায়ার গেমস ভাল লাগত না। কিছু দিন বন্ধুদের দেখাদেখি খেলতে গিয়ে এখন সে আসক্ত হয়ে গেছে। এখন গেমস না খেলে তার অস্বত্বিকর মনে হয়।

সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রবিন জানায়, ‘সে পূর্বে গেমস সম্পর্কে কিছু জানতো না। এখন নিয়মিত ফ্রি ফায়ার গেমস খেলা তার নেশা হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে নেট সমস্যায় এ গেমস খেলতে না পারলে মুঠোফোন ভেঙে ফেলার ইচ্ছাও হয় তার। ফ্রি ফায়ার গেমস যে একবার খেলবে সে আর ছাড়তে পারবে না বলে দাবি করে সে।

ফ্রি ফায়ার নামক গেমসকে মাদকদ্রব্যর নেশার চেয়ে ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করে স্থানীয় সমাজসেবক এহতেশামুল হক শেখ শাহিন নিউজ টাঙ্গাইলকে জানান, ‘এই সমস্যা থেকে আমাদের সন্তান, ভাই-বোনদের বাঁচাতে হলে অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।’

এ ব্যাপারে একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ‘তাদের সময় অবসর সময়টি বিভিন্ন খেলা ধুলার মধ্য দিয়ে কাটতো, কিন্তু এখনকার যুগে সন্তানদেরকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। জেলার গ্রাম-গঞ্জে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রুপ গেম মহামারী আকার ধারন করেছে। অনেকে শিক্ষার্থীই পড়ার টেবিল ছেড়ে খেলছে মোবাইল গেমস, কখনো ইন্টারনেটের খারাপ সাইটে বিভিন্ন ছবি দেখছে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে। তাই কিশোর-কিশোরীদের মা-বাবাসহ সমাজের সবারই খেয়াল রাখতে হবে, যেন তারা মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে।