শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর’র উপ-পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম দক্ষতা ও সততার সাথে কাজ করছেন

সহিদ মাহমুদ : কর্ম স্বাগত জানিয়ে যারা প্রতিনিয়ত সততা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম গুণে সাফল্যের শীর্ষে পৌছতে সক্ষম হয়েছেন তাদের মধ্যে মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম অন্যতম। তিনি ফেনী সদর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষাজীবনের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সর্বশেষে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় হতে রসায়ন বিষয়ে বি.এস-সি অনার্স ও এম.এস-সি (রসায়ণ) ডিগ্রি লাভ করেন। এই কৃতি ছাত্র ২০০৬ সালের ১৫ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেট কার্যালয়ে সিনিয়র কেমিস্ট হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৯ সালে ইসিএ ম্যানেজমেন্ট অফিসার হিসেবে সিবিএ-ইসিএ প্রজেক্টে কুলাউড়া মৌলভী বাজারে যোগদান করেন। ২০১১ সালে সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে একই পদে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে নারায়নগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে যোগদান করেন। এখানে তিনি অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে উপ-পরিচারক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন।
দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল নারায়নগঞ্জের সকল কলকারখানায় ইটিভি প্লান্ট না থাকার কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় তিনি পর্যবেক্ষণ করে দেখেন নারায়নগঞ্জের সকল কলকারখানার দূষিত পানি ষোলটি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তীতে তিনি গবেষণা করে পরিকল্পনা করেন, প্রতিটি কলকারাখানায় আলাদা অলাদা ইটিভি নির্মাণ না করে যদি এই ষোলটি পয়েন্টে ষোলটি ইটিভি করা হয় তাহলে নারায়নগঞ্জের সকল দূষিত পানি পরিশোধন হয়ে নদীতে যাবে। তাহলে নদীর পানি আর দূষিত হবে না। এরই মধ্যে তিনি ২০১৭ সালে টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ে বদলী হয়ে চলে আসেন।
বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গ্রীন ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছেন, টাঙ্গাইল যেসব সংগঠন পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন, এর মধ্যে বৃক্ষরোপন কর্মসূচ অন্যতম। এছাড়া কলকারখানা, ইটভাটা পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া চলছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে কতিপয় স্বার্নান্বেষী লোক অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম টাঙ্গাইল যোগদানের পর পরিবেশ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয় সকল ধরণের অন্যায়, দুর্নীতি ও ঘুষ মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে সুধীমহল থেকে তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।
পারিবারিক জীবনে তিনি দুই সন্তান ফারিস ওয়াজিহ্ ও ফাইক ওয়াজিহ্ এর আদর্শ জনক।