শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুমাস ধরেও বাগে আনা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতির

নিজস্ব সংবাদদাতা : মূল্যস্ফীতির লাগাম ছুটে গেছে। গত দুমাস ধরে এটাকে বাগে আনা যাচ্ছে না। মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য নাগালের বাইরে। আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার এখন ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। তবে খাদ্য খাতে এই হার ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। আর এই বৃদ্ধি গত এক বছরে আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।

খাদ্য খাতে সার্বিক, শহর ও গ্রাম সব জায়গাতেই বেড়েছে। মঙ্গলবার বিবিএসের দেয়ার সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বিবিএসের দেয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সূচনা থেকেই এই মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধিটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। গত জুলাই মাসে সার্বিক হার ছিল ৫.৫৩ শতাংশ। আগস্টে এই হার বেড়ে হয়েছে ৫.৬৮ শতাংশ। আগস্ট মাসে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ। যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে আগস্টে হয়েছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। যা জুলাইতে ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমে হয়েছে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। যা জুলাই মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, আগস্ট মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ হয়েছে। জুলাইতে যা ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। আগস্টে খাদ্য পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। জুলাইয়ের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে কমে আগস্টে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ দাড়িয়েছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, চাল, শাক-সবজি (আলু পটল বেগুন করল্লা বরবটি, চালকুমড়া, চিচিংগা, ঢেরশ ইত্যাদি), মসলা, কাাঁচা মরিচ, পেয়াজ, চিনি ইত্যাদির দাম জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান কারণ হিসেবে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে বন্যার কারণে জিনিষপত্রের দাম বেড়েছে। অনেক এলাকা ডুবে যাওয়াতে এইসব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। এবারের বন্যাটা বেশ দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুটা হলেও সময় লাগবে। বন্যার পানি নেমে গেলে আবার নতুন করে উৎপাদন শুরু হবে। আমরা আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার মতোই রাখার চেষ্টা করবো।