দুলাল চকদারকে গোবিন্দাসী ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়
সহিদ মাহমুদ ও সাজ্জাদ : এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী একটাই- দুলাল চকদারকে যেভাবেই হোক আগামী ইউপিনির্বাচনে গোবিন্দাসীর চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। কারণ তিনি দীঘর্ দিন যাবৎ দল-মত নির্বিশেষে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের সর্বস্তরের মাঝে সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছেন। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে তিনি নিবেদিত প্রাণ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিতে অটল থেকে বরাবর ইন্যায়-নীতির সাথে জনগণের সাথে মিশে আছেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানাযায়- অত্র ইউনিয়নের গত দুইটিি নর্বাচনে একজন প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানীকরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি দল ও নেতাদের সাথে প্রতারণা করেননি।
গোবিন্দাসী বাজারের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বলেন, দুলাল চকদারের দানের হাত অনেক বড়। তিনি নির্বাচনে আসলে বিপুল ভোটে জয়ী লাভ করতে পারবেন। তারা আরো জানান, তার জনপ্রিয়তা দেখে ঈশ^ান্বিত হয়ে এলাকার তথাকথিত আওয়ামীকর্মী দুলালচকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ পরিবেশন করেন। সে ক্ষেত্রেও তিনি তাদেও বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি। সেগুলো তিনি না ভেবে মানুষের কল্যাণে কাজ কওে যাচ্ছেন। যেখানেই মানুষের দু:খ দুর্দশা সেখানেই ছুটে যানে। করোনাকালীন সময়ে হাজারহাজার মানুষের পাশে সাহায্যেও হাত বাড়িয়েছেন। বন্যার্তদেও মাঝে বিশ লক্ষাধিক টাকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন অকাতরে। এসবই তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে কষ্টার্জিত আয়ের একটা অংশ বিলিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি সম্প্রতি দূর্গা পূজা উপলক্ষে গোবিন্দাসী ইউনিয়নের প্রতিটি পূজা মÐবে লক্ষাধিক টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। গোবিন্দাসী হাফেজিয়া মাদ্রাসার উন্নয়নকল্পে তিনি অর্ধ লক্ষাধিক টাকা প্রদান কওে এলাকায় আরো জন প্রিয়তা লাভে সক্ষম হয়েছেন। গোবিন্দাসী বাজাওে অবস্থিত অসহায়, গরীব ও বঞ্চিত গোবিন্দাসী মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে ‘মাগফিরাত ফান্ড’নামক স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান তিনি শুভ উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে দীর্ঘ দিন ধওে নিঃস্বার্থ ভাবে শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য কওে যাচ্ছেন গোবিন্দাসী ইউনিয়নের আলোকিত মুখ মো. দুলাল হোসেনচকদার। সফল সংগঠক, যুব সমাজের অহংকার, তরুণ সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. দুলাল হোসেনচকদার ১৯৭৯ সালের ১ মে টাঙ্গাইল জেলার ভ‚ঞাপুর উপ জেলাধীন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন অন্তর্গত গোবিন্দাসী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা আলহাজ আকবর হোসেন চকদার ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, জোতদার ও সমাজসেবক। মাতা রহিমা বেগম ছিলেন।
স্বাধীনচেতা মনো বলের কারণে তিনি ব্যবসায়িক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯৪ হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গোবিন্দাসীহা টেরম্যানেজিং পার্টনার ছিলেন। ১৯৯৮ হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরিবহণ ব্যবসা পরিচালনা করেন। ভ‚ঞাপুর মিনিবাস মালিক সমিতির ২০০১ হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুইবারের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত থেকে কর্মীদেও যথাযথ মূল্যায়ন করছেন। স্থানীয় বহু সংগঠনের উদ্যোক্তা, দাতা সদস্য হিসেবে কাজ কওে যাচ্ছেন।
প্যাট্রোল পাম্প ও ডেইরি ফার্ম সহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেক যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। অনেকপরিবারেরভাগ্য পরিবর্তন ও এলাকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করছে। রাজনীতিতেও তিনি সফল বিচরণ করছেন। হাই স্কুল পড়া কালীন হতে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়াসম্পাদক পদে অধিষ্ঠিতহন। ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। অদ্যাবধি একই পদে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির সকল কর্মীর সাথে সুসম্পর্ক ঠিক রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, অন্যায় কাজ কোন দিন মেনে নিতে পারেননি। মিথ্যার বিরুদ্ধে বরাবরইি তনি সোচ্চার। ব্যবসার পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক চাঁদাবাজের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাদেও প্রতিবাদ করতে গেলেইউল্টো তাকে মিথ্যা ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। শুধু স্বার্থ হাসিলের জন্যে একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে কাজ কওে যাচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। কোকাদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মানিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকার অসংখ্য ছেলে মেয়েদেও শিক্ষারকার্যক্রম সচল রাখার লক্ষ্যে শিক্ষা উপকরণ ও অর্থ দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছেন।
সম্প্রতি তাকে হেয় প্রতিপন্ন ও মানুষের কাছে ছোট করার জন্য পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেন এলাকার কতিপয় স্বার্থান্বেষীকুচক্রী মহল। তার বিরুদ্ধে সমস্ত তথ্য ও সংবাদই ভিত্তি হীন, মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণেদিত। তাদের এই ভিত্তি হীন তথ্য ও সংবাদ প্রকাশে মো. দুলাল হোসেন চকদার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। দুলাল চকদার সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে স্থানীয়সাংসদ জনাব তানভীর হাসান ছোট মনির মুঠো ফোনে বলেন, দুলাল চকদার এখন আগের চেয়ে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী, দক্ষ কর্মী ও জন প্রিয় হয়েছে। গরীব অসহায় মানুষের প্রতি সাহায্য সহযোগি তার হাত রয়েছে। মনমানসিকতা ও অনেক বড়। নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজের জন্য কাজ কওে যাচ্ছে। ভূঞাপুরের মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, দলের জন্য ত্যাগ ও স্বদিচ্ছার প্রয়োজন। দুলাল একজন ভালো কর্মী, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান; সমাজসেবা, ব্যবসা ও রাজনীতি কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছে। জনগনের জন্য যারা কাজ করবে, তাদেও পাশে জনগণ থাকবে; তাই সকলের জনগনের জন্য কাজ করা উচিৎ। ভবিষ্যতেও নীতি আদর্শ নিয়ে কাজ করবে আমার বিশ^াস। তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর চেয়ে জন প্রিয়তায় তিনি অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগতাকে দলীয় টিকিট প্রদান করলে জনগণের সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবেন বলে অনেকের ধারণা। সফলভাবে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি রাজনীতি, শিক্ষা, সংষ্কৃতি ও সমাজসেবায় দৃষ্টান্ত মূলক কাজ কওে যাচ্ছেন।