মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের করোনা পরিস্থিতি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা : এই মুহূর্তে দেশের করোনা পরিস্থিতি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয় বরং সামনে দুই-একটা মাস পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া আছে বলে বলছে আইইডিসিআর। তবে পরিস্থিতি সামলে নিতে এন্টিজেন টেস্টের বিকল্প দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বাংলাদেশের অবস্থান এখন কোথায়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্য বলছে শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ নমুনায় পজিটিভ হচ্ছেন ১৭ দশমিক তিন সাত ভাগ। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় এই হার ১১ দশমিক আট শূন্য শতাংশ। যদিও গত এক মাস ধরেই এই সংখ্যা দশ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এ পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক চার পাঁচ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে না এলে স্বস্তির কারণ নেই । অধিদফতরের হিসাবে রাজধানীর ১৯টি হাসপাতালে সাড়ে তিন হাজার শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছেন প্রায় দুই হাজার। আর চট্টগ্রামে ভর্তি রোগী ১৪১, খালি শয্যা প্রায় ৭০০। তবে গত ২ সপ্তাহে কিছুটা হলেও বাড়ছে রোগীর চাপ। সেই সঙ্গে উঁকি দিচ্ছে শীতে বড় ধাক্কার শঙ্কা।

আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর বলেন, শীতকালে যে সাধারণ ঠান্ডা হয়, ব্রঙ্কাইটিস হয়, যাদের এজমা আছে তাদের এপিসোড বেড়ে যায়। আবার সাধারণ ঠাণ্ডার মধ্যে করোনার যে চারটা লক্ষণ সেগুলো থাকে।

তবে আইইডিসিআর বলছে, আপাতত ডিসেম্বর পর্যন্ত সব হাসপাতালেই যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন পর্যাপ্ত পরীক্ষা নিশ্চিত করে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যাধপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, ‘শীতে করোনা বেশি হবে এটা ঠিক না। আমরা যে ওয়েভের মধ্যে আছি এটাতে যে কোন সময় ওঠানামা করবে। সেটা শীতেও হতে পারে, শীতের পরেও হতে পারে।

মাস্ক ব্যবহারকেই করোনা মোকাবিলার প্রধান হাতিয়ার মনে করছেন তারা।