বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নদী ভাঙ্গনে আতংকে ভূঞাপুরে রাত কাটাচ্ছে এলাকাবাসী

টাংগাইলের ভুঞাপুরে যমুনা নদীর পানি বাড়তে না বাড়তেই শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে ভাঙ্গন। কোন ভাবেই যেন শান্ত হচ্ছে না রাক্ষসী যমুনা। রক্ষা পাচ্ছে না যমুনা পূর্ব পারের হাজারো মানুষ। উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গন আতংকে রাত কাটাচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীটি গোবিন্দাসী থেকে ৪-৫ কি.মি. দূরে ছিল। দীর্ঘ দিন নদী ভাঙ্গনের ফলে ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় সর্বশান্ত হচ্ছে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। নদী হতে অত্যাধুনিক ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে এই ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ভাঙ্গন আতংকে আছে বেশ কয়েকটি মসজিদ,বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়,মন্দির সহ শত শত পাকা-আধা পাকা ঘর-বাড়ি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাঙ্গন রোধে বাধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রুপ নিচ্ছে না। সরকারি ভাবেও নেওয়া হচ্ছে না কোন ব্যবস্থা। এখনো দেখা মেলেনি কোন জনপ্রতিনিধিদের। নেওয়া হচ্ছে না ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানায়, তাদের এলাকায় কোন প্রভাবশালী কোন জনপ্রতিনিধি না থাকায় এমন দুর্ভোগে থাকতে হচ্ছে তাদের। মূলত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের দায়িত্বহীনতার কারনেই নদীতে বিলিন হওয়ার শংকায় এই বাড়ি ঘর।
নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসীর দাবি, অতি দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।
উল্লেখ্য, গত বন্যায় খানুরবাড়ি অংশে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা কাজে লাগেনি। এ বছরও কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্ন।