শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নর্থ সাউথের প্রক্টরসহ চার কর্মকর্তার জালিয়াতি-অনিয়ম তদন্তে কমিটি

বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) চার শিক্ষক-কর্মকর্তার জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা, গবেষণায় অনিয়ম, প্রশাসনিক ও আর্থিক দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তদন্তে দুটি কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ দুটি কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যে চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ও স্বাস্থ্য-জীবন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিইউ আহসান, প্রক্টর অধ্যাপক নাজমুল আহসান খান, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ সাবের ও চিফ সিকিউরিটি অফিসার এম ইমরান।

প্রথম দুজনের বিরুদ্ধে চলছে গবেষণায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুজন মিলে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির হোতা ছাত্রলীগ নেতা (বহিষ্কৃত) তরিকুল ইসলামকে ২০১৮-২০১৯ সালে একটি বিদেশি গবেষণায় সিনিয়র লেখক হিসেবে দেখিয়েছেন। প্রথমে তার নাম এবং পরে জিইউ আহসান ও নাজমুল আহসানের নাম পাঠানো হয় সেই গবেষণার আবেদনে। অথচ তরিকুল ইসলাম তখন নর্থ সাউথের ছাত্রই ছিলেন না। তাছাড়া ওই গবেষণায় তার কোনো অবদানও ছিল না। এ অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (গবেষণা) নরম্যান সোয়াজকে।

অপরদিকে সাবের ও ইমরানের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতিসহ আরও কয়েকটি অভিযোগ। এসব অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসাইন এবং পরিচালক জাফর ইকবাল রাসেলকে সদস্য সচিব করে কমিটি করা হয়েছে। এতে সিনিয়র অধ্যাপক মোস্তফা কামাল খান এবং সংশ্লিষ্ট তিনটি অনুষদের তিনজন ডিনকে সদস্য করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, তিন কর্মকর্তা ও একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে চারজনকে সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমে তাদের প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞাও দেয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের চাকরিচ্যুত করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।