শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রস্তুত চিকিৎসক, সেবক, সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্য সময় মানুষের ভীড় লেগে থাকলেও এখন তার উল্টো চিত্র। মানুষের তেমন ভীড় নেই, তবে হাতেগোনা কয়েকজন রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে দেখা গেছে ।চিকিৎসারাও রোগীদের বিভিন্ন সমস্যা দেখছেন নিজের মত করে। অন্য সময়ের চেয়ে এখন একটু বেশিই পরিচ্ছন্ন হাসপাতালের চারপাশ। আর একজনকে দেখা গেলো জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটাচ্ছেন পুরো হাসপাতাল আঙ্গিনায়। সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, জরুরী বিভাগে রোগীর অপেক্ষায় বসে আছে এক চিকিৎসক। অন্য বিভাগের কাজও চলছে আপন গতিতে। সিড়ি বেয়ে উপরের তলায় যেতেই সুনশান নিরবতা। একপাশে ভর্তি হওয়া কয়েকজন গর্ভবতী মহিলার দেখা গেলেও তাদের আত্নীয় স্বজনের মাঝে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রবণতা। তবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডও। রোগীদের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সেবিকা মিন্নাতুন নাহার বলেন ,’ রোগী ও স্বজনদের বার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও তারা সেটি তারা কানেই তুলছেন না। হাসপাতালটির বর্তমান সার্বিক অবস্থা জানান মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মাকসুদা খাতুন। তিনি বলেন, ‘ আমাদের নিয়োগ প্রাপ্ত ১৮ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। বাকিরা সবাই নিয়মিত কাজ করে চলছেন৷ নিরবিচ্ছিন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তাদের বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দিয়েছি। তারা নির্দিষ্ট বিরতির পর স্বাস্থ্যসেবা দিতে সব সময় প্রস্তুত৷ এছাড়া ১৭ জন সেবিকার মধ্যে হাসপাতালে কাজ করছেন ১৫ জন আর বাকি দুইজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলার যুদ্ধে সামিল হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। এছাড়া তিনি আরো বলেন,’ নতুন আল্ট্রসনোগ্রাফি মেশিন আসছে সেটা মেকানিকের জন্য লাগাতে পারছি না। পুরাতনটা অকেজো সেটা সাড়তে দেওয়া হয়েছে তাছাড়া ইসিজি,এক্স-রে সহ যাবতীয় সকল পরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে। ” পিপিইর দরকার আছে তবে তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন গ্লাভস, মাস্ক এবং গগজ যা কিনা আমাদের করোনার নমুনার সংগ্রহের কাজে প্রচুর পরিমাণ লাগছে। স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এইসব নিজেদের কিনতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। ”

এই চিকিৎসক জানান, ভেন্টিলেটর সেবা নেই এই হাসপাতালে। একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে। করোনা রোগী বহনে জেলা থেকে অ্যাম্বুলেন্স সেবা নেয়া হয়।