বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনী প্রচারে সভা, সমাবেশ ও জমায়েত চায় না ইসি

নিজস্ব সংবাদদাতা : জাতীয় সংসদের শূন্য আসন এবং স্থানীয় সরকারভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচনী প্রচারে সভা, সমাবেশ ও জমায়েত চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এসব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে প্রার্থীদের লিখিত পরামর্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। প্রচারে বিকল্প হিসেবে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পাবনা-৪, ঢাকা-৫, নওগাঁ-৬ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। যদিও নির্বাচন কমিশন এসব নির্বাচন সংক্রান্ত আচরণ বিধিমালা সংশোধন না করেই এমন পরামর্শ দিচ্ছে। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে সভা-সমাবেশের মতো জনসমাগম এড়ানোর পরামর্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আচরণবিধি সংশোধন করার মতো সময় হাতে না থাকায় এ ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে বেশকিছু সংসদীয় আসন ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে এখনই নির্বাচন আয়োজন করতে হচ্ছে।

জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ এবং ১৭ অক্টোবর ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া ১০ অক্টোবর প্রায় ২০০ পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন রয়েছে। আরও প্রায় তিনশ’ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে ইসি। ওইসব নির্বাচন সামনে রেখে সভা-সমাবেশ ও জমায়েত না করতে প্রার্থীদের লিখিত পরামর্শ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে ব্যক্তিগত যোগাযোগ বা আইনানুগ অন্য কোনো পন্থা বা পদ্ধতিতে প্রচার চালাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা প্রার্থীদের জানাতে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির একজন যুগ্ম সচিব বলেন, জাতীয় সংসদের শূন্য আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ করতে পারে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৫ ও ৬ ধারায় এ সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। অপরদিকে পৌরসভা নির্বাচনে ঘরোয়া সভা ও পথসভা ছাড়া জনসভা বা শোভাযাত্রা করার বিধান নেই এ সংক্রান্ত আচরণবিধিতে। এ কারণে জাতীয় সংসদের শূন্য আসন ও পৌরসভা নির্বাচনে জনসভা ও জনসমাগম নিষিদ্ধ করা যায়নি। তবে এ ধরনের কার্যক্রমে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।