শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার তীর রক্ষায় আরও টাকা চায় মন্ত্রণালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা : শরীয়তপুরের জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্পে প্রথম সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়ন করছে। সংশোধিত প্রস্তাবে তারা বাড়তি সময় চায় না, চায় বাড়তি ১৪৬ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তারা এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কিন্তু তাদের আরও বাড়তি টাকা দিতে হবে। প্রকল্পটি যখন পাস হয় তখন এর খরচ ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯৭ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এখন তারা বলছে, এই কাজ শেষ করতে তাদের ১ হাজার ২৪৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩ হাজার টাকা লাগবে। অর্থাৎ, তারা এখন বাড়তি ১৪৬ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা চাইছে।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ ব্যাখ্যা করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ভাঙনের তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় জরিপ করে নকশা সংশোধন করা হয়। সংশোধিত নকশা অনুযায়ী জিও ব্যাগের ডাম্পিং ভলিউম ৭৬ ঘনমিটার/মিটারের পরিবর্তে ৭৬-১২৩ ঘনমিটার/মিটার নির্ধারণ এবং ব্লকের ডাম্পিং ভলিউম ২৬ ঘনমিটার/মিটারের পরিবর্তে ৪০-৫০ ঘনমিটার/মিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে নদীতীর সংরক্ষণ কাজ ৪৫০ মিটার ও নদী ড্রেজিংয়ের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ০৫ কিলোমিটার বৃদ্ধি এবং কিছু নতুন অংশ যেমন কালভার্ট নির্মাণ, ভূমি পুনরুদ্ধার ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।

জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, হাটবাজার, ফসলি জমিসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা/সম্পদ নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করা, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করা এবং ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ স্বাভাবিক ও মূল চ্যানেল বজায় রাখা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।