প্রকৌশলী মুহা.মাহবুবুর রহমানের একগুচ্ছ ছড়া
১. বন্যা
– প্রকৌশলী মুহা. মাহবুবুর রহমান
হায় ! হায় ! হায় ! ঐ যে বন্যা
সকলের মনে এলো কান্না।
মানুষ করতে না পারে পাকাদি
খেতে না পারে ভাতাদি।
মানুষ থাকে পানির উপর ভেসে
সাপ যায় তাদের ঘেঁসে।
কামড় দেয় না তারা
মিল যেন তাদের না ছাড়া।
ছাগল-গরু-বাছুর খেতে না পারে ঘাস
গৃহস্থ হাফ ছেড়ে বলে দুঃখে ভেসে যাস।
যখন যায় ভেসে অনেক দূরে
তখন গৃহস্থ কাদেঁ করুন সুরে।
সকলে বলে দুঃখ এলো মোদের
সর্বনাসী বলে মরতে হবে তোদের।
ভয়ংকর গেছে ঊনিশ শ আটাশি
মানুষ করেছে শুধু ঠাসাঠাসি।
সকলে বলে এমন দেখিনি আর
সর্বনাসী বলে ভাঙ্গব তোদের ঘাঁড়।
পানিতে ভেসে যায় সব
চারদিকে ওঠে কান্নার রব।
বন্যায় আসে খুবই দূর্ভিক্ষ
বাড়ে মানুষের দুঃখ।
হে ! সর্বনাশী-
তুই মোদের সর্বগ্রাসী।
বন্যা হয় মোদের অভিশাপ একটি
সমাধা করতে হবে ঐটি।।
২. বর্ষা
-প্রকৌশলী মুহা. মাহবুবুর রহমান
কোন দিন আসবে প্রতীক্ষিীত বর্ষা
সে দিন করবো মোরা বিষাদ হর্ষা।
যদি আসে বর্ষা
আকাশ থাকে না ফর্সা।
শুরু হয় যখন গুড়গুড় শব্ধ
চারদিক নিঃস্তব্ধ।
বর্ষায় থৈ থৈ পানি
চলার জন্যই বা কি আনি ?
পথ-ঘাট কাদাময়
বর্ষায় মোদের কি হয় ?
কৃষক যায় কাজ করতে মাঠে
তারা শুধু দেশের জন্য খাটে।
বর্ষা যদিও করে অপকার
তারও বেশি আছে উপকার।
বর্ষায় জুড়ায় তপ্ত বুক
হাঁফ ছেড়ে সকলে বলে বাচঁল মোদের মুখ।
যদি ক্ষেতে ফলাতে না পারি ধান
তবে – থাকবে না মোদের মান।
যখন মাঠে রোপন করে চারা ধান
কৃষকের কন্ঠে থাকে গান আর গান।
চারা গুলি যখন দেখায় সতেজ –সবুজ
কৃষকের মনে আসে সুখ।
বলে সকল চাকরি জীবি
কৃষক হউক দীর্ঘজীবি।
কৃষক হয় দেশের ভবিষ্যৎ
বর্ষায় থাকে না কোন ফুরসৎ।।
৩. আবাদ
-প্রকৌশলী মুহা. মাহবুবুর রহমান
যদি না করি আবাদ
তাহলে পাব কি মোরা ভাত ?
যদি করি কুঁড়েমি
কোন দিন কারো জুড়েনি।
কুড়েঁমি করবো না
দুঃখে মোদের পাবে না।
কাজ করবো ভাল
দেশকে করবো আলো।
যদি না থাকে কোন নেশা
করতে পারবো না কোন আশা।
মোদের এক মাত্র পেশা
কৃষির উপর সব আশা।
যদি না করি ভাল ভাবে জমি চাষ
তাহলে থাকবে না মোদের বাস।
দেশ হয় কৃষিজীবি
মোরা হবো দীর্ঘজীবি।
আমাদের দেশ-নীতি ধর্ম পরায়ন
আরও করি অতিথি আয়ন(আনা)।
মোদের করতে হবে আবাদ
খেতে হবে ভাল ভাবে ভাত।।
৪. শৈশব স্মৃতি
-প্রকৌশলী মুহা. মাহবুবুর রহমান
যখন ছিলাম ছোট
ঘুরেছি শুধু টু-ট।
খেলেছি শুধু খেলা
কেটে যেতো বেলা।
ঘটাতাম যতো বৃতি
চোখে থাকতো স্মৃতি।
যেতাম নানার বাড়ি
থাকতাম তাঁর রসের হাড়ি।
নানার সাথে যতো দুষ্টুমি
তাঁর চোখে সেই আমি।
চাদেঁর আলোতে বসে
নানা বলতো তারা যায় খসে।
চাঁদ গিলে রাক্ষুসে
থাকে সে মাকে ঘেঁসে।
নিয়ে যায় কাছ থেকে মার
দুঃখে কাদেঁ মা ঝারঝার।
রাক্ষস নিয়েছে মোর ছেলে
কার মুখে তুমি গেলে!
বলত নানা এ সব গল্প –
কথা বলতাম অল্প।
কোথায় মোর সে সব স্মৃতি
মনে পড়ে মেটে না তো তৃপ্তি।