শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ১ বছর মেয়াদি বিশেষ রেপো চালু

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে এবার ১ বছর বা ৩৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) চালু করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যবস্থায় বিধিবদ্ধ জমা হারের (এসএলআর) অতিরিক্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকে জামানত রেখে তহবিল নিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিদ্যমান রেপোর সুদহারকে ভিত্তি ধরে বিশেষ রেপোর সুদের হার ও পরিমাণ নির্ধারিত হবে।

গতকাল বুধবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে রেপোর সুদহার ৫.২৫ শতাংশ। যে সুদহারে বাংলাদেশ ব্যাংক তফসিলি ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেয়, তা-ই রেপো রেট বা নীতি সুদহার। বাজারে নগদ তারল্যের জোগান দিতেই মুদ্রানীতির এ গুরুত্বপূর্ণ টুলসটি ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেপো রেটের সঙ্গে সামান্য কিছু মার্জিন যোগ করে বিশেষ রেপোর সুদের হারও নির্ধারিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওভারনাইট বা ১ দিন, ৭ দিন, ১৪ দিন ও ২৮ দিন মেয়াদি রেপো রয়েছে। বিদ্যমান এসব রেপোর ক্ষেত্রে ট্রেজারি বিল ও বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে টাকা ধার নিতে পারে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশেষ এ রেপোর আওতায় ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখেই তহবিল নিতে পারবে। এরপর এই তহবিল প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ হিসেবে ব্যবসায়ীদের চলতি মূলধন হিসেবে বিতরণ করা যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নে মুদ্রাবাজারে তারল্য ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুতর করার লক্ষ্যে ৬০ দিন মেয়াদি বিশেষ রেপো (পুনঃক্রয় চুক্তি) প্রচলন করা হলো। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান রেপো হারকে ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতি ও মুদ্রা বাজারের তারল্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিশেষ রেপোর (পুনঃ চুক্তি) সুদের হার ও পরিমাণ অকশন কমিটি কর্তৃক প্রতি অকশনে নির্ধারিত হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।