বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালীরা ভাগ পাননি সাহেদকে গ্রেফতার করে প্রমাণ করুন

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতি আর প্রতারণার তথ্য উদঘাটিত হওয়ার পর এই গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে গ্রেফতার করার আবেদন জানিয়ে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, অতিদ্রুত তাকে গ্রেফতার করে প্রমাণ করুন যে তার কাছ থেকে প্রভাবশালীরা কোনো ভাগ পাননি। বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে এমন মন্তব্য করেছেন সুমন।

ব্যরিস্টার সুমন বলেন, এই সময়ে এসে করোনা ইস্যুতে বাংলাদেশটাকে প্রোডাক্ট বানিয়ে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক দেশের কলঙ্ক শাহেদ। তিনি কেন এখনও আইনের আওতায় আসেননি? যেখানে বাংলাদেশের বড় বড় ক্রিমিনালরা দুই আড়াই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়, সেখানে সাহেদকে কেন এখনও গ্রেফতার করা হচ্ছে না, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকে বলাবলি করছে যে, সাহেদ এখন কোনো মন্ত্রী অথবা কোনো ভিআইপির বাসায় এসে আত্মগোপন করে রয়েছেন অথবা তাকে আত্মগোপন করে রাখা হয়েছে। তাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না এই কথার যদি জবাব দিতে না পারেন তাহলে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, এমন কোনো ভিআইপি ব্যক্তি নেই যে তার সঙ্গে সাহেদের ছবি নেই। এখন যদি তাকে ধরা না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ ভাববে কোনো ভিআইপি ব্যক্তির বাসায় তাকে আত্মগোপনে রাখা হয়েছে। এর জবাব সরকারকেই দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাথে সাহেদের সম্পর্কের বিষয়ে সুমন বলেন, এই সাহেদ দাবি করে যে সে আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং তার একটি নাম আমি দেখেছিও। জানি না পুরোপুরি কতটা সত্য। কিন্তু আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে তার ওঠাবসা রয়েছে এটা প্রমাণিত। আর তার মতো সমস্ত লোকজনই ক্ষমতার আশপাশেই থাকে। তাই সঠিকভাবে তার বিচার না করলে আওয়ামী লীগকে এর দায় নিতে হবে।

রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়ম এবং প্রতারণার অভিযোগে ৬ জুলাই র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) একটি দল উত্তরায় অবস্থিত হাসপাতালের একটি শাখায় অভিযান চালায়। সেখানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা না করেই ভুয়া সনদ দেয়াসহ নানা ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পায় র‍্যাব।

পরদিন অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উত্তরা শাখা সিলগালা করে দেয় র‍্যাব। একই দিন রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর এবং উত্তরা দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি ইস্যু করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরই মধ্যে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মো. সাহেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও (হিসাব) ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।