শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রাণহীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে বললেন বিশেষজ্ঞরা

নিজস্ব সংবাদদাতা : অনলাইন ক্লাস কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট- তাতেও করোনাকালের শিক্ষা ঘাটতি কতটা পোষানো যাবে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে হবে এখনই। তৈরি করতে হবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের নিবিড় যোগাযোগ। আর চলতি বছরের ধাক্কা সামলাতে আগামী শিক্ষাবর্ষে ছুটি কমানো, শিক্ষাঘণ্টা বাড়ানো, পরীক্ষার চেয়ে চর্চার ওপর গুরুত্ব দেয়াসহ নানা ধরনের পরিকল্পনা চলছে বলে জানালেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

আগের সেই চেনা কোলাহল নেই। শিক্ষার্থীদের উচ্ছলতায় বহুদিন মুখর হয়নি শ্রেণীকক্ষ। ৮ মাসের বেশি সময় ধরে এমন প্রাণহীন সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনায় ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের ক্লাস কেবল অনলাইনে। ইংরেজি মাধ্যমে কোথাও কোথাও হচ্ছে পরীক্ষাও।

এক শিক্ষার্থী বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার নেওয়ার আগে আমাদের একটু পড়ার সময় দেয়। তারপর পরীক্ষার সময় ক্যামেরার অন করে রাখতে হয়। এতে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।

অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই পড়াশোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। পরীক্ষা না হলেও শুরু হয়েছে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়া। তবে এসবেও চলতি বছরের পাঠ্যসূচি কতটা রপ্ত করা যাবে, তা নিয়ে আছে সংশয়। অন্যদিকে, বড় একটি অংশ ইন্টারনেট বঞ্চিত। তাই শ্রেণীকক্ষে ফিরতে উদগ্রীব সব শিক্ষার্থী। তাদের একজন বলেন, স্কুল খোলা থাকলে ভালো হতো। কারণ ক্লাস করার সময় সরাসরি শিক্ষককে প্রশ্ন করতে পারতাম।

আরেক শিক্ষার্থীর মা বলেন, অনলাইন সুবিধা না থাকায় ক্লাস করতে পারছে না আমার মেয়ে। কিন্তু বাসায় পড়াশুনা করছে।

শিক্ষায় করোনার ধকল কাটাতে বিকল্প নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, এক নির্দিষ্ট অধ্যায় পড়ার জন্য যদি শিক্ষার্থীদের বলা হতো। এবং সেটা নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে। তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা ভালোভাবে করতে পারতো।

আর ঘাটতি পুষিয়ে নিতে আগামী শিক্ষাবর্ষে বেশ কিছু পরিকল্পনার জানালেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, বিগত বছরের আমাদের যে পড়াটা মিস হয়ে গেছে, সেটা আগামী বছরের পড়াশুনার সঙ্গে যুক্ত করে পড়াতে হবে। এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি তুলে দিতে হতে পারে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেবল কওমি মাদ্রাসাগুলোই ফিরেছে আগের ছন্দে।