শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা, প্রয়োজন পারিবারিক সহায়তা

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ নানা সমস্যা আর সামাজিক বাধায় চাকরি বিমুখ অনেক নারী। তাই বাসায় বসে ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিচ্ছেন অনেকে। বিষেশজ্ঞরা বলছেন, আউটসোর্সিং বাংলাদেশের নারীদের জন্য বিরাট সম্ভাবনা। আর সফল নারী ফ্রিল্যান্সাররা জোর দেন পরিবারের সহায়তার ওপর। 

বাসার একটি রুমকে অফিস বানিয়ে দেশি-বিদেশি ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিচ্ছেন এই দম্পতি। স্বামী-স্ত্রী দুজনে ফ্রিল্যান্সার। এতে সুবিধাই হয়েছে তাদের। দুজনের আয়ে তারা এখন স্বচ্ছল।

ফ্রিল্যান্সার তাইশিয়া বলেন, ‘যেহতু আমরা একই সেক্টরে কাজ করি, তাই একে অপরকে সাহায্য করতে পারি। অনেক সময় আমি যখন রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকি, উনি তখন আমার ক্লায়েন্টদের বিভিন্ন বিষয়ে জবাব দিচ্ছেন। আবার উনি যখন ব্যস্ত থাকেন, তখন আমি ওনার স্টাফদের কাজের নির্দেশনা দিতে পারছি।’

কেবল লেখালেখি করেই আয় করা যায়, আগে ভাবেননি তিনি। তাইশিয়া বলেন, ‘প্রথমে তো ইংলিশ জানতেই হবে। তারপরই লাগবে ত্যাগ স্বীকার। এরপর কোন একজন প্রোফেশনাল ব্যক্তির নির্দেশনায় কাজ করতে হবে। সেটা অর্থ দিয়ে হোক কিংবা বিনা পয়সায় হোক।’

ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন মানসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষেশজ্ঞ মেরিলিন আহমেদ। তিনি মনে করেন, ‘পরিবারের সঙ্গে থেকেই একটি সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে পারেন নারীরা।’

তার মতে, ‘কোন নারী যদি মনে করে কাজ করবেন, তাহলে দিনের একটি সময় তাকে বেছে নিতে হবে। সবার আগে দক্ষতাকে চিহ্নিত করতে হবে।’

তিনি বলছেন, ডিজাইন, মার্কেটিং ও ম্যানেজমেন্টে মেয়েদের ভালো করার সুযোগ রয়েছে।

মেরিলিন আহমেদ বলেন, ‘আপনি ৫/৬টি বিষয় নির্ধারণ করে, সেখান থেকে যে দুটি বিষয়ে কাজ করতে পারবেন সময় নিয়ে তা ঠিক করুন। তারপর ওই বিষয়ে চাকরি খুঁজতে হবে।’ 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আউটসোর্সিং নারীকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিতে পারে।

এ ব্যাপারে বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ‘একজন নারী যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে পারে, কিংবা ফ্রিল্যান্সিং করে তাহলে ভাল জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।’