শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাসের এক সিট ফাঁকা থাকবে এক সিটে যাত্রী বসবে

আগামী ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, স্বল্প যাত্রী নিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল করবে। এজন্য এর আগে জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে।

কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সড়কপথে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে যেসব নির্দেশনা রয়েছে তা হচ্ছে- যাত্রীবাহী পরিবহন। স্টেশনের জন্য জরুরি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। নিরাপত্তা এবং জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে।

সব কর্মক’র্তা-কর্মচারীর করো’না নিয়ন্ত্রণ স’ম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুনাশক মজুত থাকতে হবে। কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভুক্ত করতে হবে। যারা অ’সুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিতে হবে।

এছাড়া বাস স্টেশনে আগত যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য স্টেশনে ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রাখতে হবে। যথাযথ শর্তাবলী মেনে একটি জরুরি এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকবে তাদের ওই জরুরি এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজন মতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বায়ু চলাচল পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যথাযথ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচলের জন্য বাসের জানালা খুলে দিতে হবে। চলাচলের স্থানগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

টয়লেটগুলোতে তরল সাবান থাকতে হবে। সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে। যাত্রীদের অ’পেক্ষা করার স্থান, বাস কম্পার্টমেন্ট ও অন্যান্য এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

এছাড়া প্রতিবার বাস ছেড়ে যাওয়ার আগে সিট এবং বাসের মেঝে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জনগণের জন্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রগুলো পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। সিট কভা’রগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যাত্রীদের অ’পেক্ষা করার স্থানে মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হবে। সব বাসে হাতে-ধ’রা থার্মোমিটার থাকতে হবে। যথাযথ স্থানে একটি জরুরি এলাকা স্থাপন করতে হবে। যেখানে স’ন্দেহ’জনক উপসর্গ আছে এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টিনে রাখা যাবে। যাত্রী এবং কর্মক’র্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জো’র দিতে হবে।

নির্দেশনায় যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট কেনারও পরাম’র্শ দেওয়া হয়। সারিবদ্ধভাবে ওঠা এবং নেমে যাওয়ার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর থেকে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি দুই সিটের এক সিট ফাঁকা থাকবে এক সিটে যাত্রী বসবে। যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন স্বাস্থ্যবিধিতে যেখানে পাশাপাশি দুই সিটের মধ্যে একটি সিটে যাত্রী বসানোর কথা বলা হয়েছে সেখানে বাসের ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে পরিবহন মালিকরা কী’ভাবে খরচ পোষাবেন? এ অবস্থায় সরকারকে ভাড়া পুনরায় নির্ধারণের বিষয়টিও দেখতে হবে। তা না হলে পরিবহন চালানো সম্ভব হবে না। কেউ তো লোকসান দিয়ে পরিবহন চালাবে না।