শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় উচ্চ ঝুঁকিতে

দীর্ঘসময় পরে ভারতে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করেছে। তবে করোনার সংক্রমণ থামছে না। প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত হচ্ছেন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। এ পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ১৪৬ জন। আরা মারা গেছেন ৭ হাজার ৭৫০ জন। এই যখন অবস্থা তখন দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির সিকিউরিটিজ রিসার্চ ফার্ম নমুরা এক সমীক্ষায় বলেছে, করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিবহুল ১৫টি দেশের মধ্যে চলে এসেছে ভারত।

বিশ্বের ৪৫টি বড় অর্থনীতির দেশের ওপরে সমীক্ষা চালিয়েছে নমুরা। লকডাউন তুলে নেয়ার পর দেশগুলোতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কেমন হারে বাড়ছে, তা জানতেই এই সমীক্ষার আয়োজন করা হয়।

সমীক্ষার রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভের ঝুঁকি প্রবল-এমন দেশগুলোর তালিকায় প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত।

রিপোর্ট বলছে, অর্থনীতির বড় অংশ খুলে দেয়া হয়েছে-এমন ১৭টি দেশে সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ বা দ্বিতীয় ঢেউ আসার লক্ষণ নেই। ১৩টি দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেকেন্ড ওয়েভের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। এই দেশগুলোর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলক কম। তবে ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সেকেন্ড ওয়েভের ঝুঁকি প্রবল। আর এসব দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত।

লকডাউন তুলে নেয়ার দেশগুলোতে দুই ধরনের ফলাফল পাওয়া যেতে পারে বলছে নমুরা। তার একটি হলো ভালো দিক। যেমন-এতে দেশের জনসাধারণের গতিশীলতা বা সজীবতা দ্রুত ফিরছে। অর্থনীতি সচল হচ্ছে। দ্বিতীয় চিত্রটি হলো অর্থনীতির চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে নতুন আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে মানুষের মনে ভয় বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে দেশগুলোতে আবার লকডাউন জারি করা হতে পারে।

এই সমীক্ষায় ৪৫টি দেশকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি হলো অন ট্র্যাক অর্থাৎ সব কিছু স্বাভাবিক। দুই ওয়ার্নিং সাইনস বা সতর্কতার লক্ষণ রয়েছে এমন দিশে। আর তিন নম্বরটি হলো ডেঞ্জার জোন বা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি প্রবল যে দেশগুলো। ভারত পড়ছে ওই বিপজ্জনক জোনের তালিকায়।

ভারতের সঙ্গে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত আয়ের জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে এই জোনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চিলি, পাকিস্তানের মতো দেশগুলো।