ভুল চিকিৎসায় কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ
আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আয়েশা আক্তার আলফি (১৪) নামে এক কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফতুল্লার পাগলা এলাকার বেসরকারি গ্রিন ডেলটা হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রবিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পাগলা এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ এবং হাসপাতালটি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে মৃত কিশোরীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ রবিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন।
মৃত স্কুলছাত্রী আয়েশা আক্তার আলফি পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে ফতুল্লার দক্ষিণ নয়ামাটি এলাকার ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানের মেয়ে।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, চার দিন আগে সিঁড়ি থেকে পড়ে পায়ে ব্যথা পায় আলফি। পরে স্থানীয় গ্রিন ডেলটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা আলফিকে দুটি ইনজেকশন দেন। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ঘটনার দুই দিন পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে তাদের অন্য আরেকটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। আলফির বাবার দাবি, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘রোগীর স্বজনরা সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করেছেন। পরে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। আমরা মৃত ওই শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত করিয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ রবিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমরা বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। রোগীর স্বজনদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই হাসপাতালের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাই হাসপাতালটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারলে দু-একদিনের মধ্যে হাসপাতালটি খুলে দেওয়া হবে।