মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভূঞাপুর আওয়ামীলীগের বিতর্কিত, সুবিধাবাদী, হাইব্রিড ও জামায়াতপরিবার আমিনুল ইসলাম আমিন’র অপকর্ম

সহিদ মাহমুদ ও সাজ্জাদ খান : ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ী নিবাসী মো. আমিনুল ইসলাম আমিন কুখ্যাত মীরজাফরকেও হার মানিয়েছে। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য দেশ-জাতি ও আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানী করতেও বিন্দু পরিমাণ দ্বিধাবোধ করেননি। বারবার আওয়ামীলীগের সাথে প্রতারণা করেছেন তিনি। প্রথমদিকে আওয়ামীলীগকে সমর্থন করলেও পরবর্তীতে স্বার্থেরজন্য বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির সাথে সক্রিয়হন। বর্তমান প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত পরিচালিত ২১ শে গ্রেনেড হামলার অন্যতম আসামী সাবেক উপ-মন্ত্রী আব্দুস ছালাম পিন্টুর অনুগত হয়ে ২০০১ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। তখন তিনি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বহু অপকর্মের সাথে লিপ্ত হন এবং তার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি মাঝে মাঝে আওয়ামীলীগকে সমর্থন করলেও তারবাবা সোহরাব উদ্দিন জামায়াত নেতা ও তার ছোট ভাই ছাত্র শিবিরের সক্রিয় কর্মী। ২০০৯ সালে গোবিন্দাসী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থননা পেয়ে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পরে আওয়ামীলীগ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। তারই ধারা বাহিকতায় ২০১৬ সালে অনুরূপ ভাবে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক পাননা। আওযামীলীগের ভাল মন্দ খেয়ালনা করেই নিজের স্বার্থের জন্য নৌকার প্রার্থীকে পরাজয়ের জন্যে মূলত তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেন। এবং তিনি আনারস প্রতীকে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। এ ধরণের হটকারিতার জন্য তার পরাজয়ের পাশা পাশি আওয়ামীলীগের দলীয়প্রার্থীও পরাজয়ের স্বীকারহন। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ জানান,তারমূল উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামীলীগকে ক্ষতি করা। নৌকার প্রার্থীকে পরাজয় ঘটানো। এ ধরণের অপকৌশল এখনও তার অব্যাহত রয়েছে। এখনও তিনি আওয়ামীলীগের নেতা ও প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছেন। তার এ ধরণের অপপ্রচার এলাকাবাসী আর বিশ্বাস করেন না। এলাকাবাসী তাকে ইতি হাসের কুখ্যাত মীর জাফর হিসেবেই চিনেন। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে নিজএলাকায় নানান অপকর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং এখনও অব্যাহত আছেন। ২০১০ সালে এলাকায় জুয়া ও মদের আড্ডায় মেতে উঠেন এবংএলাকাবাসী সেটাকে ‘মিনিবার’ হিসেবে চিনতেন।
আগামীতে আমিনুল ইসলাম আমিনের অপকর্মের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।