বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাত্র ৭ দিনের ব্যবধানে সখীপুরে দুই বান্ধবীর বাল্যবিয়ে

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে একই গ্রামের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া দুই বান্ধবীর বাল্যবিবাহ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা এ নোটিশ দেন। কালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান আজ দুপুরে নোটিশ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকেও অনুরুপ নোটিশ দেবেন বলে জানান তিনি। কীভাবে একই গ্রামে দুটি বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হলো তার জবাব দিতে ওই চেয়ারম্যানকে তিন কার্যদিবস সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানায়, ওই দুই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের বিন্নরীপাড়া গ্রামে। তারা স্থানীয় বড়চওনা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং বান্ধবী। গত ১৫ আগস্ট ও ২৩ আগস্ট বিয়ে দুটি অনুষ্ঠিত হয়। পাশের উপজেলা ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার (কাজি) নুরুজ্জামান এ দুটি বিয়ের নিবন্ধন (কাবিন) করেন। তবে মুঠোফোনে কাজি নুরুজ্জামান এ দুটি বিয়ে নিবন্ধন করেননি বলে দাবি করেন।

এলাকাবাসী জানান, গত ১৫ আগস্ট শনিবার রাতে উপজেলার বিন্নরীপাড়া গ্রামের হালিম মিয়ার মেয়ে হালিমা আক্তারের (১৪) সঙ্গে নামদারপুর সুলতান নগর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আজাহার উদ্দিনের ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়েটি সম্পন্ন হয়। ঠিক এর সাতদিনের মাথায় ২৩ আগস্ট রাতে একই এলাকার মানিক মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তারের (১৪) সঙ্গে ৪ লাখ ৫০ হাজার দেনমোহরে ভালুকা উপজেলার কৈয়াদি গ্রামের এক প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়।