শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ধরা দুই টাউট আইনজীবী

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ শহীদুল ইসলাম ও এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছার নিজেদের মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে মামলা সংগ্রহ করতেন। আইনজীবী না হয়েও তারা নিজেদের আইনজীবী পরিচয় দিতেন। এভাবে নিরীহ বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন হাজার হাজার টাকা। অবশেষে তাদের শেষ রক্ষা আর হলো না। ঢাকা আইনজীবী সমিতি কার্যনিবার্হী কমিটির হাতে ধরা পড়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেছেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক এইচ এম মাসুম।

রোববার (১২ জুলাই) মামলার বাদী ও ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক এইচ এম মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শহীদুল ইসলাম ও এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছার তারা আইনজীবী না হয়েও আইনজীবী পরিচয় দিতেন। তারা নিজেদের মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিতেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ আদালত পাড়া থেকে তাদের আটক করি। এরপর কোতোয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি শহীদুল ইসলাম (৪৭) নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিতেন। পরবর্তীতে ঢাকা আইনজীবী সমিতির রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখি সে আইনজীবী নয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামি শহীদুল ইসলাম অবৈধ ও অসৎ উদ্দেশে মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে ভিজিটিং কার্ড ও পোস্টার ছাপিয়ে ‘বিশ্ব আদালত মানবাধিকার আইন বাস্তবায়ন সংস্থা’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। অবৈধ প্রতিষ্ঠানের পোস্টার সে দেওয়ানি,ফৌজদারি ,জমি রেজিস্ট্রেশনসহ সংস্থার মাধ্যমে ১-১২ মাসের মধ্যে সব ধরনের মামলা নিষ্পত্তি করা হয় মর্মে পোস্টার ছাপিয়ে এবং নিজে ওকালাতনামা ছাপিয়ে তা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষভাবে মামলা সংগ্রহ করে বিচারপ্রার্থী জনগণের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

এ কে এম গিয়াসউদ্দিন কাউছারও (৩১) নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখি সে আইনজীবী নয়। উক্ত আসামি সে নিজেকে মানবাধিকার চেয়ারম্যান ও আইনজীবী পরিচয় দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে মামলা সংগ্রহ করে বিচারপ্রার্থী জনগণের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন