শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাতি

মুন্সীগঞ্জ শহরের মধ্য কোর্টগাঁওয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা আনিস-উজ-জামান আনিসের বাসভবনে ডাকাতি হয়েছে।

৭-৮ জনের ডাকাত দল শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে ডাকাতি করে। এ সময় তারা পরিবারের সদস্যদের মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আসবাবপত্রসহ ১০০ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাত ২টার দিকে ডাকাত দলের একজন প্রথমে ভবনের দ্বিতীয় তলায় পশ্চিম পাশের জানালা দিয়ে কোনোভাবে ভেতরে প্রবেশ করে।

পরে ভেতরে ঢোকা ডাকাত ওই দরজা খুলে দিলে আরও ৭-৮ জন ডাকাত প্রবেশ করে। দ্বিতীয় তলায় চেয়ারম্যানের বড় ছেলে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আক্তারুজ্জামান রাজীবের ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে বেঁধে ফেলে।

তার কক্ষে লুটপাটের পর অস্ত্রের মুখে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছোট ভাই জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন রুমী রাজনের ঘরে যায়।

রাজীবকে দিয়েই অস্ত্রের মুখে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে কৌশলে রাজনের দরজা খোলায়। দরজা খুলতেই রাজনকেও মারধর করে অস্ত্রর মুখে বেঁধে ফেলে। পরে লুটপাট করে।

এর পর আসে নিচতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সর্বশেষ কমিটির নির্বাচিত কমান্ডার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিস-উজ-জামানের কক্ষে। সেখানেও রাজীবকে দিয়ে মেয়ের অসুস্থতার কথা বলে দরজা খোলায়। কক্ষে প্রবেশ করে ডাকাত দল তাকেও আঘাত করে।

পরে চাবি নিয়ে লুটপাট চালায়। এ সময় আনিস-উজ-জামানের স্ত্রী আমেরিকায় অবস্থান করছিলেন। তবে তার দুই ছেলে এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়িতেই ছিলেন। পরে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা ৫ লাখ টাকা ও ১০০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।

উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস-উজ-জামানের ছোট ছেলে জালাল উদ্দিন রুমী রাজন জানান, ডাকাতদের ভাষা ছিল ফরিদপুর-শরীয়তপুর এলাকার।

ডাকাতরা স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ডাকাতি করেছে, হয়তো তাদের সঙ্গেই আত্মগোপন করে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিলে ডাকাতদের ধরা সম্ভব হবে। ডাকাতি করে তারা পশ্চিম দিক দিয়ে দেওভোগের দিকে চলে গেছে। তারা এখনও এ এলাকাতেই রয়েছে বলে তার দাবি।

তিনি আরও বলেন, ভেতরে ৭-৮ জন প্রবেশ করলেও বাইরে আরও ডাকাত ছিল।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে, জেলার সব চেকপোস্টগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে।