মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষাব্যবস্থার হালচাল এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড – প্রবাদ টি সবারই জানা। কিন্তু শিক্ষার কু-বানিজ্যিকিকরন একটা জাতিকে ধংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে তার উদাহারন প্রায়শ দেখা যাচ্ছে। এখানে কু-বানিজ্যিকিকরন বলার আলাদা একটা কারন আছে। আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা এবং গবেষনার সাথে ব্যবসার একটা সম্পর্ক আছে; যেটা শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়। যাই হোক মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। বাংলাদেশে ইদানিং একটা বিষয় খুব লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে এদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান এবং শিক্ষকদের অসাদাচরন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা ৪০ টির মত। এর পাশাপাশি প্রায় ১০৩ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে বিগত ২ দশকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নিয়ে কথা বলতে বলতে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অবস্থা মানুষ ভুলে যাওয়ার উপক্রম অথবা তারা সব মেনে নিচ্ছে। এর একটা কারন হচ্ছে এখানকার শিক্ষকেরা অনেকে কথা বলতে ভয়ে থাকেন অথবা ধরে নেন কথা বলে কোন লাভ নাই।

দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী এর একটা বড় অংশ তাদের স্নাতক পর্যায়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে, যাদের মোট সংখ্যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দের চাইতেও অনেক বেশী হবে। আরো একটি লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে যে এই শতাধিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ঢাকা শহরের মধ্যে ছোট্ট জায়গায় অবস্থিত। নিজে একজন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার কারনে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু আলোকপাত করবঃ

প্রথমত, আসা যাক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে কারা ভর্তি হচ্ছে। বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী ভাল কোন পাবলিক এ চান্স না পেয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। এখন এই ভর্তি হওয়া নির্ভর করে তার পারিবারিক সচ্ছলতা এবং রেজাল্ট এর বিবেচনায়। যারা বেশী সচ্ছল এবং পূর্বের রেজাল্ট ভাল তারা একটু উপরের দিকের (৪/৫ টা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি একটু স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলে) ভর্তি হয়। বাকিরা অন্য গুলোতে খরচের হিসাবে ভর্তি হয়। কয়েক টা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কোন ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না, আর নিলেও তা নামে মাত্র। এজন্য একজন শিক্ষার্থী যে কোন সাবজেক্ট এ স্নাতক পড়ার সুযোগ পায়। দেখা গেল একজন গনিতে খুব কাচা। সে যদি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসে তবে তাকে খুব ঝক্কি পোহাতে হবে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এরা এগুলা পারতেছে না, অথবা তাদের মধ্যে শেখার কোন আগ্রহ নেই। এদের একটাই ভাবনা থাকে যে কোনমতে পাশ করে ডিগ্রী নিলেই চলবে। কিন্তু এভাবে যদি তারা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয় তবে দেশে এই শত শত ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে কি হবে? তবে একটা বিষয় হচ্ছে এদের মধ্যে কিছু ভাল শিক্ষার্থী থাকে যারা নিজের প্রচেষ্টায় অনেক ভাল করে। কিন্তু তাদের পরিমাণ খুব নগণ্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এভাবে হাজার হাজার ইঞ্জিয়ার বের হয়ে কি দেশের বেকার সমস্যা আরো বাড়াচ্ছে নাকি? কারন এড়াই বলে দেশে চাকরি নেই, ইঞ্জিয়ার হয়ে কি লাভ হল। একটা মজার গল্প বলি, সেদিন এক ছাত্র এসে বলতেছে ঢাকা শহরে প্রতিটি চায়ের দোকানে গেলে নাকি কমপক্ষে পাঁচ জন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পাওয়া যাবে। যেখানে কম্পিউটার সায়েন্স হচ্ছে এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা বিষয়।

এর পাশাপাশি এর শিক্ষার্থীদের পরিবার স্বচ্ছল না হলেও পিতা মাতার আয়ের একটা বড় অংশ দিতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এবং ঢাকা শহরে থাকতে। অনেক পরিবার তার সন্তান কে পড়াতে যেয়ে অনেক ঋণ হয়ে যায় । সেই ছেলে বা মেয়ে যদি ভাল আম্নের স্নাতক না হতে পারে তখন সে পরিবারে বোঝা হয়ে যায়। যার ফলে এইসব ছেলে মেয়ে অনেক খারাপ কাজের সাথে জড়িয়ে যায়। যার দোষ এই সমাজের বলে মনে করি ।

দ্বিতীয়ত, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রসঙ্গে আসি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশীর ভাগ শিক্ষকই ই দেশের কোন ভাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়া। যারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাশ করা তাদেরও প্রোফাইল ভাল থাকে। তাদের রেজাল্ট ও মোটামুটি ভাল দেখেই নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ঝামেলা অন্য জায়গায়। বেশীর ভাগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই বয়সে খুব তরুণ, মানে তারা স্নাতক/ স্নাতকোত্তর পাশ করেই প্রভাষক হিসেবে যোগদান করে। এদের অবস্থা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক দের বিপরীত। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজের অনেক ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতা চালায়, এখানে উলটা এরা প্রশাসনের কাছে বন্দি। কিভাবে বন্দি সেটা ধাপে ধাপে নিচে দেখানো হলঃ

১। ঢাকা তে চলতে গেলে অনেক খরচ এটা সবার জানা। কিন্তু বেশীর ভাগ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন খুবই নগণ্য; যা দিয়ে তার মাসের খরচ চালানো মুশকিল। আর এখানে অন্য ভাবে আয় করার সুযোগও নাই।

২। এই পেশাতে সাধারণত চাকরির অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে আইন অনুযায়ী বেতন বাড়ানো হয় না। দেখা যে বেতনে চাকরি তে যোগদান করে ৩ বছর পরেও সেই একই বেতনে থাকা লাগে।

৩। এবার আসা যাক প্রমোশনের ক্ষেত্রে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত প্রাভষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হতে সময় লাগে ২/৩ বছর যদি তার ডিগ্রী এবং প্রকাশনা থাকে। কিন্তু এসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত সব থাকার পরেও ৬/৭ বছরেও প্রমোশন দেওয়া হয় না।

৪। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এর মোতাবেক একজন প্রভাষক সর্বোচ্চ সপ্তাহে ১২ ঘণ্টা ক্লাস নিতে পারবেন। সেখানে দেখা যায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ক্লাস নেওয়া লাগে।

৫। একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ২ টা, পাঠদান করা এবং গবেষণা করা। কিন্তু দেখা যায় যে এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক কে ব্যস্ত থাকা লাগে ব্যবস্থাপনা এবং নন-একাডেমিক কাজে।

৬। পি এইচ ডি ডিগ্রি ধারী/ অভিজ্ঞ শিক্ষক দের বড়ই সঙ্কট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। কারন তাদের নিয়োগ দিতে গেলে বেশী বেতন এবং সুবিধা দেওয়া লাগবে। এজন্য সদ্য পাশ করা গ্র্যাজুয়েট রাই এখানে বেশী যোগদান করে।

এইসব কারনে এই তরুণ শিক্ষকেরাও বুঝতে পারে এখানে তাদের ভবিষ্যৎ ভাল হবে না। এই ভেবে তারা উচ্চ শিক্ষা অথবা সরকারি চাকরি এর দিকে বেশী মনযোগ দেয়। যার ফলে তারাও শিক্ষারথীদের ভাল শিক্ষা দিতে পারে না এই ছাত্রদের। এভাবেই প্রতি বছর পুরাতন শিক্ষকেরা চলে যায় নতুন দের আগমন ঘটে। মূলত ভুক্তভোগী হয় সেই ছাত্ররাই যারা তাদের শিক্ষা জীবনের ৪ বছরে হয়ত কোন শিক্ষক কেই টানা পায় না। এতে শিক্ষার্থীদের একধরনের হতাশা কাজ করে।
এর বাইরেও এসব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনেক নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা শিক্ষকেরা এসে ২/১ টা ক্লাস নিয়ে থাকেন মোটামুটি একটা ভাল সম্মানী পেয়ে। এর ফলে যতটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রান্ডিং হয়, সেই পরিমাণ শিক্ষার্থী দের জন্য ফলপ্রসূ হয় না। তবু এটা একটা ভাল দিক যে তারা নামকরা শিক্ষকদের ক্লাস করতে পারে।

তৃতীয়ত,
এবার আসা যাক এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর প্রতিষ্ঠাতা এবং এর পরিচালক দের ব্যাপারে। এটা নিয়ে বলতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। তবু এটা দেখা গেছে যে মোটামুটি বাংলাদেশের এই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো প্রতিষ্ঠা করেছে দুই টি কারনে।

১। এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি বেশী হলে আয় ভাল হবে। তাতে অনেক ভাল একটা ব্যবসা হবে। কারন এখানে শিক্ষার্থী ভর্তি যদি উপচে পড়ে তাইলে যে টাকা আয় হবে তার চাইতে ব্যয় অনেক কম।

২। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতারা অনেক বড় শিল্পপতি বা ধনিক শ্রেনীর লোক। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক না কেন , একটা সময় তাদের মনে হয়েছে দেশের জন্য কিছু সেবামুলক কাজ করি। এর ফলে তারা বেশ কয়েক দিকে লাভবান হয়েছেন তারা। ধনিক পরিচয় এর পাশাপাশি শিক্ষানুরাগী হিসেবে নিজের তুলে ধরেছেন, সরকারের কাছে নিজেকে এখন মহৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত করেছেন, পাশাপাশি নিজের অন্য আয়ের উৎসের একটা বড় অংশ এখানে লোকসান হচ্ছে বলে সরকারের কাছে দেখাচ্ছেন। দিনশেষে বিশ্ববিদ্যালয় এর গুনগত কোন উন্নতি হচ্ছে না।

আগের দিনে আমরা যে সব স্কুলকলেজে পড়েছি সেগুলা ছিল কোন পুরনো আমলের সেই সব শিক্ষানুরাগী দের দানকৃত জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। তাদের মনে এই দুরভিসন্ধি থাকলে কি হত তা অন্তর্যামী জানেন।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ জায়গা হচ্ছে সিন্ডিকেট। যার প্রধান সেখানকার মাননীয় উপাচার্য। কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে টাকা পয়সা জনিত বিষয় গুলোর সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন ট্রাস্টি বোর্ড খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এর মালিক পক্ষের লোকজন। এতে দেখা যায় যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা করবেন আবং সিদ্ধান্ত নিবেন শিক্ষকেরা সেখানে তা চলে ওই সব নন একাডেমিক দের কথায়। যার ফলে শিক্ষকেরা চাইলেও মানের কোন উন্নতি হচ্ছে না।

তবে এত সমস্যার পড়েও বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে অনেক মেধাবী এবং দক্ষ শিক্ষার্থী বের হয়ে ভাল কিছু করছেন। কিন্তু তাদের পরিমাণ শতকরা ১ ভাগ হবে বলে মনে হয়। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারকেরা এসব বিষয়ে সচেতন হবে বলে মনে হয় না। কারন এখন সবাই ব্যবসার কাছে অন্ধ। আমি নিজের পক্ষ থেকে মনে হয়েছে নিম্নোক্ত বিষয় গুলো যদি করা যেত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তবে দেশের তরুণ সমাজের জন্য ভাল হতঃ

১। নির্দিষ্ট সংখ্যক মোটামুটি মান সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে প্রতি বিষয়ে। যেমন ঢাকায় একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাথে একটি বিভাগে ভর্তি করে প্রায় ২ হাজার এর মত শিক্ষার্থী। যেখানে সাড়া দেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এত শিক্ষারথী ওই বিষয়ে ভর্তি করে না। তবে এটা কি তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবন হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া না।

২। শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দিতে হবে। ছোট বিল্ডিং এর জায়গা বড় না করা গেলেও ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা বাড়ানো লাগবে। খেলাধুলা এর সুযোগ দিতে হবে।

৩। শিক্ষকদের ভাল বেতন এবং শিক্ষাবান্ধব-গবেষণা এর ন্যুনতম সুযোগ দিতে হবে।

৪। শিক্ষকেরা যেন নিয়মিত চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রেখে পি এইচ ডি ধারী শিক্ষক এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দেখা যায় শিক্ষকেরা একেবারে তরুণ বয়সের। তাদের সঙ্গে সাম্নজস্য রেখে একটু প্রবীন শিক্ষকদের নিয়োগ দিতে হবে।

এর সাথে আরো অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু আমি এটা নিশ্চিত এভাবেই চলবে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো। কারন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তাঁদের মালিক পক্ষের (ট্রাস্টি বোর্ডের) অধীন। তারা বুঝেই না কিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে উন্নতি করা যায়। তার বুঝে ব্যবসা। এর সমাধান না হলে দেশের ভবিষ্যত শুধু পাবে ডিগ্রিধারী স্নাতক। যাদের একটা বিশাল বড় অংশ কোন চাকরি না পেয়ে দেশের বোঝা হবে।

পরিশেষে,
আমাদের দেশে সমস্যার শেষ নেই। এগুলা দূর করতে পারি আমাদের মত তরুনেরাই। আমরা গড়ে তুলতে পারি স্ব-শিক্ষিত জাতি। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট মহল এর কাছে বন্দি হয়ে আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলছি। যেখানে আমাদের তরুণ সমাজের অধিকাংশ বড় ডীগ্রিধারী হব কিন্তু দেশে কর্মসংস্থান হবে না। হইলেও সেখানে অপেশাদার কাজ করা লাগবে। আসলে আমি চাই না পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আলদা করে দেখতে। এই সব নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো যদি একটা নিয়মের মধ্যে আসত তবে এর থেকে উপকৃত হত দেশে সেই সব তরুণেরা , শিক্ষকেরা তথা সমগ্র জাতি। এর মধ্যে আশা রাখা যায় যে অদূর ভবিষ্যত এ আমাদের তরুণেরা এসব সমস্যা দূর করে গবেষণা মূলক বিশ্ববিদ্যালয় এর দিকে ধাবিত হবে।
লেখকঃ জয়দেব সরকারপি এইচ ডি ছাত্র, কম্পিউটার সায়েন্স, ওয়েন স্টেট ইউনিভারসিটি, মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র