মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পরিপত্রের সংশোধন চাই

নন এমপিও শিক্ষকদের জন্য করোনা কালিন আর্থিক প্রণোদনার জন্য গত ২৩ শে মে -২০২০  শিক্ষা মন্ত্রনালয় একটি পরিপত্র প্রকাশ করে। সেই পরিপত্রে নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী দের তথ্য সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের তথ্য নিতে সারাদেশের মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা প্রশাসন অনিহা প্রকাশ করছে। 
আবার এমপিও ভুক্ত বেসরকারি  কলেজের নন এমপিও অনার্সমাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের কথা চিঠিতে উল্যেখ না থাকায় তাদের ও কোনকোন জেলার কর্মকর্তারা নামের তালিকা নিতে চাচ্ছে না। ব্যানবেইজর তথ্য শিক্ষামন্ত্রনালয়  থেকে  গত বছরের পুরাতন তালিকা হালনাগাদ করার জন্য জন্য সকল জেলা প্রশাসকের নিকট শিক্ষামন্ত্রনালয় পাঠিয়েছে। যেটা সংশোধন করে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এটাতে কোন শিক্ষক কর্মচারি কোন কারনে বাদ পড়লে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার বলা হয়েছে। কোন শিক্ষক কর্মচারীর নাম উক্ত তালিকায় আছে কিন্তু সেই ব্যাক্তি হয়তো মারা গেছে কিংবা চাকরি ছেড়ে চলে গেছে তাদের নাম বাদ দিতে বলেছে। আবার কিছু কলেজ হয়তো নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের কলেজের শিক্ষক কর্মচারিদের নাম এন্ট্রি করতে পারে নাই বিদ্যুৎ বিভ্রাট অথবা অনলাইনসমস্যা থাকার কারনে। 
সেই কলেজের নামও নতুুন করে মাঠ প্রশাসন নিতে চাচ্ছে না। যেমন বরিশালের  বাবুগন্জ উপজেলার বাবুগণ্জ ডিগ্রি কলেজের ১১ জন শিক্ষক,যশোর উপশহর কলেজের ১২ জন  খুলনা ফুলতলা এমএম কলেজের ২১ জন শিক্ষক কর্মচারি । এছাড়া চট্রগ্রামের জেলা শিক্ষাকর্মকর্তা এমপিও ভুক্ত কলেজের নন এমপিও শিক্ষকদের কথা চিঠিতে বলা না থাকায় সেখানে প্রায় শতাধিক শিক্ষক কর্মচারির তথ্য নিতে অনিহা প্রকাশ করছে।
এজন্য আমরা পরিপত্রের সংশোধন করে শিক্ষামন্ত্রনালয় থেকে নতুন সংশোধিত পরিপত্র চাই যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক প্রণোদনা সকল নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারি পেতে পারে। এজন্য নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারি দের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতঙ্গতা প্রকাশ করছি।
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়)


নেকবর হোসাইন

আহবায়ক
মেহরাব আলী
সদস্য সচিব
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্সমাস্টার্স শিক্ষক ফোরাম