বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দাম বেশ চড়া, সাথে মুরগি পেঁয়াজ আদারও

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজধানীর বাজারে শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহও গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় বাড়ছে। তারপরেও দাম কমছে না। চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি। তবে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে কাঁচামরিচে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে।

ব্রয়লার মুরগির দামের বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী আশিক বলেন, ঈদের পর থেকেই ব্রয়লার মুরগি কম দামে বিক্রি হচ্ছিল। এতো দিন আমরা ১১০-১১৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারিতে এখন ব্রয়লারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে কেজি ১২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

রামপুরায় ১২০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হাসান বলেন, ঈদের পর অনেক দিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম ছিল। তবে সপ্তাহ দুই ধরে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। এ কারণেই হয়তো এখন দাম বাড়ছে। তবে সবজি বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে দাম এখনো কমই আছে।

বৃহস্পতিবার মিরপুর-১, কারওয়ান বাজার, উত্তর পীরেরবাগ ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতের সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি ও শিম অল্প পরিমাণে বাজারে এসেছে। তবে এসব সবজির দাম বেশ চড়া।

মিরপুর-১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজ্জাক বলেন, বন্যার কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সবজির সরবরাহ কম। এ কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে আগের সপ্তাহের চেয়ে এখন সবজি বেশি আসছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম কমছে না। তাছাড়া শীতের আগাম সবজি সব সময় একটু বেশি দামেই বিক্রি হয়।

গতকাল বাজারে নতুন সবজি শিম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। ছোট আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যগুলোর দাম চড়া থাকায় নতুন এই সবজির চাহিদা ছিল বেশি।

উত্তর পীরেরবাগ সবজি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, গত বছর এই সময়ে কপি একই দামে বিক্রি হয়েছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, গত বছর মৌসুমের শুরুতে শিম আড়াইশ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছেন তিনি। এবার কেজিতে অন্তত ৫০ টাকা কমে পাচ্ছেন ক্রেতা। তবে অন্য সবজির দাম এখনও বেশ চড়া।

বাজারে এখনও পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। গাজর ৮০ থেকে ১০০, করলা ৮০ থেকে ১০০, বেগুন ও বরবটি ৭০ থেকে ৮০, পোটল ও কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০ এবং প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ৩০০ টাকা। এখন তা কমে দেড়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল লিটারে দুই টাকা বেড়ে মানভেদে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসুর ডাল কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।

এখন প্রতিকেজি বড় দানা মসুর ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, মাঝারি দানা ৯০ থেকে ১১০ টাকা ও ছোট দানা ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে আদার দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।