বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারে এসে মানুষ হত্যা শুরু করেন খালেদা জিয়া

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ ২০০১ সালে সরকার গঠন করে অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা শুরু করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বহু মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আবার সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটিও দিয়েছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। ঠিক যেভাবে তার স্বামী জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করতে ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। জিয়ার ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়াও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আজ অনেকেই এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কথা বলে। কিন্তু সবাই ভুলে গেছে খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সরকারে এসে মানুষ হত্যা শুরু করে। আবার সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটিও দিয়েছিলেন। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের যাকে যেখানে পেয়েছে নিয়ে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যার বিচার হবে না বলেও ইনডেমনিটিও খালেদা জিয়া দিয়ে গেছেন। তার স্বামী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন আর তিনি এসে নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি দিয়ে গেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যুবলীগের মাসুমকে যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছিল, যার ফলে সে মৃত্যুবরণ করেছিল। এরকম শত শত লোককে হত্যা করে। আমাদের রিসার্চ সেন্টার দখল করে নেয়। ১৫টি কম্পিউটার, বই, ৩০০ ফাইল, নগদ টাকা সব কিছু লুট করে সিল করে দেয়। যেন আমরা সেখানে বসে কাজ করতে না পারি। একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর পথ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে।