বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিআরব বিনিয়োগের ৮০০ কোটি ডলার ফিরিয়ে নেবে

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্বের বৃহৎ কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগের ৮০০ কোটি ডলার তুলে নেবে সৌদিআরবের সার্বভৌম তহবিল।

করোনা মহামারির পাশাপাশি তেলের দামে ধস নামায় সৌদি আরবের অর্থনীতি জোড়া সংকটে পড়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সার্বভৌম তহবিলের বেশির ভাগ বিনিয়োগই করা হচ্ছে পশ্চিমা বিশ্বে। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ রয়েছে বোয়িং, ফেসবুকের মতো বড় বড় কোম্পানিতে। এসব কোম্পানি থেকে বিনিয়োগের এই বিপুল পরিমান অর্থ তুলে নেওয়া হবে।

এছাড়াও সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মূল্য সংযোজন কর দ্বিগুণ করেছে সৌদি সরকার। একই সঙ্গে বেসামরিক কর্মচারীদের মাসিক ভাতা স্থগিত করা হয়েছে। ব্যয়বহুল ঘাটতি কাটাতে ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি সরকার। মাত্র দুই বছর আগে প্রথম ভ্যাট চালু করে সৌদি আরব। করোনাভাইরাসের কারণে এই ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়েছে তারা। আগামী ১ জুলাই থেকে বর্তমানের ৫ শতাংশ ভ্যাট বেড়ে হবে ১৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ১ জুন থেকে নাগরিকদের জীবনযাপন ব্যয়–ভাতা প্রদানও বাতিল করবে দেশটির সরকার।

সৌদি আরবের আয়ের ৯০ শতাংশ আসে তেল বিক্রি থেকে। কয়েক দশক ধরে রাজ্য তার তেলসম্পদ নাগরিকদের জন্য উদার ভর্তুকি, চাকরি ও করমুক্ত জীবনযাত্রার জন্য ব্যবহার করেছে। এখন অর্থনৈতিক চাপের মুখে সৌদি আরবে সরকারি কাজে মোটা অঙ্কের বেতন ও দরাজ হাতে দেওয়া সুযোগ-সুবিধা সংকুচিত করে আনা হচ্ছে। এখন এই সংকটের মধ্যে বিদেশে বিশাল বিনিয়োগ সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আওতায় (পিআইএফ) বোয়িং, ওয়াল্ট ডিজনি ও স্টারবাকস থেকে শুরু করে ম্যারিয়ট ও সিটি গ্রুপে ৭৭০ কোটি ডলারের শেয়ার কেনে সৌদি। তেলক্ষেত্রের নামকরা প্রতিষ্ঠান বিপি, টোটাল ও রয়্যাল ডাচ্‌ শেলেও রয়েছে তাদের শেয়ার। ইংলিশ ফুটবল ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের মালিকানা কেনার চেষ্টা করেছিলেন। তবে পরে সেই চুক্তি কিছুটা জটিল অবস্থায় পড়ে।