মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০

ভূঞাপুরে ক্রেতা শুন্য পশুর হাটগুলো

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃকোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বিভিন্ন হাটে গরু উঠতে শুরু করলেও এখনো জমে উঠেনি দেশের বৃহত্তম গোবিন্দাসী গরুর হাট। হাটে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতা সংকটে ঘুম হারাম হাটের ইজারাদারের।
সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার দুইদিন হাট বসে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা আসে এ হাটে।

কিন্তু এবার করোনার কারনে অন্য জেলা থেকে আসতে পারেনি গরু বেপারিরা। একসময় দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট ছিল এটি, কিন্তু বিগত ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ বছর হাটটির ইজারা না দেয়ায় দেশের রাজস্ব যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি হাটের সুনাম নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গরু ব্যবসায়ীরা। গেল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে ব্যবসায়ীরা কিন্তু ক্রেতা নেই একেবারেই।এদিকে উপজেলার শিয়ালকোল, নিকরাইল হাটের অবস্থা আরো খারাপ।

গরু ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী সরকার জানান, গত তিন চার হাট পার হলেও একটি গরুও বিক্রি করতে পারিনি।  খামারি দুলাল হোসেন চকদার বলেন, আমার খামারে কোরবানির জন্য ৫৫ টি গরু মোটাতাজা করেছি, প্রতিটি গরু সর্বনিম্ন ৩ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু করোনার প্রভাবে চাহিদা ও দাম কম হওয়ায় ক্ষতির আশংঙ্কা রয়েছে।
গরু কিনতে আসা কোরবান তালুকদার বলেন, হাটে প্রচুর গরু, দাম কিছুটা কমই আছে, তবে ঈদের যেহেতু আরে ১৫ দিন বাকি রয়েছে সেহেতু আরেকটু দাম কমার সম্ভাবনা আছে ।  হাটের ইজারাদার মো. লিটন মন্ডল জানান, প্রায় ৪ বছর পর ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছি। ঈদ ঘনিয়ে আসলেও বিক্রি খুবই কম। এভাবে বেচাকেনা হলে আমাদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত আসবে না। তাছাড়া এবার আমরা হাটের অস্থানের কথা চিন্তা করে রওনার পরিমান কমিয়ে দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারনে ক্রেতার সংকট দেখা দিয়েছে।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার স্বপন চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাটে রোগাক্রান্ত পশু যাতে কেউ বিক্রি করতে না পারে সেজন্য আমাদের অফিস থেকে পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য টিম কাজ করবে। তিনি আরো জানান, উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য ১৩ হাজার গরু প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানির পশুর কোন সংকট হবে না।