শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীর মালামাল গায়েব কারাগারে ছাত্রাবাস মালিক

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শিক্ষার্থী তিন মাসের ভাড়া না দেয়ায় তাদের শিক্ষাসনদ ও মালামাল গায়েব করায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের আলিফ নামের একটি ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।

রোববার (৫ জুলাই) একদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শরীফ সাফায়েত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে শুক্রবার (৩ জুলাই) খোরশেদকে ঢাকা মহানগর আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে বুধবার গভীর রাতে পুলিশ খোরশেদকে গ্রেফতার করে।

রাজধানীর গ্রিন রোডের বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ৫০ শিক্ষার্থী রাজাবাজারে আলিফ নামের একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন। এ জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তিন বেলা থাকা–খাওয়ার খরচসহ মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকা দিতে হতো।

জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে সব শিক্ষার্থী তাদের কক্ষে তালা লাগিয়ে বাড়িতে চলে যান। শিক্ষার্থীরা কিছুদিন আগে জানতে পারেন, ছাত্রাবাস মালিক খোরশেদ আলম গত এপ্রিল থেকে মে পর্যন্ত তিন মাসের ভাড়া না পেয়ে তাদের কক্ষ ভেঙে চেয়ার টেবিল, বই-খাতা, আসবাবপত্রসহ মালামাল সরিয়ে ফেলেছেন।

খবর শুনে বুধবার সকালে ৫০ শিক্ষার্থীর সবাই ঢাকায় আসেন। শিক্ষার্থীরা খোরশেদকে ফোন করলে তিনি বলেন, বকেয়া টাকা দিলে মালামাল দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের চাপে বুধবার রাতে যেখানে তাদের মালামাল রাখা হয়েছে, সেখানে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীরা দেখতে পান, তাদের প্রত্যেকের স্যুটকেসের তালা ভাঙা। লেপ, তোশক ছাড়া কোনো মালপত্রই নেই। এ ঘটনায় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মো. সোহান বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় ছাত্রাবাসের মালিক খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন।