মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০

সরিষাবাড়ীতে অজ্ঞাত নামা মামলায় তিন কিশোরকে মন্দিরে চুরি মামলায় চালান


জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সন্দিগ্ধ  ছাগল চোরদেরকে অজ্ঞাত নামা মন্দিরে চুরি মামলার আসামী দেখিয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে চালান দিয়েছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
   স্থানীয় ও ভূক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী পৌর সভার বলার দিয়ার  গ্রামের জনৈক ব্যক্তি  একটি অটো রিক্সা যোগে সরিষাবাড়ী পৌর সভার উদ্দেশ্য রওনা দেন। ওই অটো রিক্সা চালক আকাশ মিয়া(১৮) ও যাত্রী সোহাগ মিয়া(১৭) ও সজিব মিয়া(১৬) এর কাছে একটি ছাগল দেখতে পেয়ে জনৈক ব্যক্তির সন্দেহ হয়। পরে জনৈক  ব্যক্তি পৌরসভায় যেয়ে পৌর কাউন্সিলর সুরুজ্জামান,সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম,ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ড্রাইভার দুলাল মিয়া  কে জানালে তারা সরিষাবাড়ী থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার এস আই আরিফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সন্দেহ ভাজন ৩ জনকে ছাগল ও অটো বাইক সহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।আটককৃতরা হলেন- সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের খাগুরিয়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে অটো চালক- আকাশ মিয়া(১৭),একই গ্রামের মুনতাজ আলীর ছেলে (এস এস সি পরীক্ষার্থী-সোহাগ মিয়া(১৬),হুরমুজ আলীর ছেলে সজিব মিয়া(১৬) ।
ভূক্তভোগী আকাশের বাবা দুলাল শেখ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,ছাগল মালিকের কোন অভিযোগ না থাকায় ছাগলটি থানা থেকে ছাগল মালিককে  দিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেও আমার ছেলে সহ ৩ জনকে ছেড়ে না দিয়ে অন্য একটি অজ্ঞাত নামা মামলায় জডিয়ে চালান দেয়া হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে খাগড়িয়া কালিমাতা মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও অভিযোগকারী কাঁলাচান পাল বলেন, ২৫ মার্চ আমাদের খাগড়িয়া কালিমাতার মন্দিরে চুরির বিষয়ে একটি অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা করা হয়েছে।ওই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়েছে কিনা আমি তা জানি না।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হাসান জানান, তিন যুবককে ছাগল ও অটো সহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খাগড়িয়া কালিমাতার মন্দিরে সংগোপনে মন্দিরে প্রবেশ পূর্বক চুরি করায় থানায় রুজুকৃত মামলায় তাদের চালান দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান ওই তিন আসামীর কাছ থেকে গুরুত্বপুর্ন তথ্য প্রাপ্তির জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।উদ্ধারকৃত ছাগলটি মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। অটো রিক্সাটি থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জামিনে এসে কাগজপত্র দেখালে তাদেরকে অটো রিক্সাটি দিয়ে দেওয়া হবে।