সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নবজাতক কন্যাকে হাসপাতালে রেখে পালাল কিশোরী

বিশেষ প্রতিবেদকঃ জগন্নাথপুরে নবজাতক কন্যাশিশুকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছেন শিশুটির মা ও নানি। ঘটনাটি ঘটেছে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। শনিবার সন্ধ্যায় রাশিয়া বেগম নামের এক নারী নবজাতকটিকে হাসপাতালের সিঁড়িতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। বর্তমানে শিশুটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকালে সাদিয়া বেগম (১৬) নামে এক কিশোরীকে নিয়ে এসে তার মা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে জানান, তিন দিন ধরে তার মেয়ের পায়খানা না হওয়ায় পেট ফুলে গেছে। কর্মরত চিকিৎসক ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এর পর কর্মরত

নার্স দেখতে পান, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। সন্তান প্রসবের সময়ও ঘনিয়ে এসেছে। এ খবর শোনার পর কিশোরীর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। কিছুক্ষণ পর একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। সন্তানসহ কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। সন্ধ্যার দিকে কিশোরী ও তার নানি নবজাতকটিকে হাসপাতালের সিঁড়িতে রেখে পালিয়ে যায়।

হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, পালিয়ে যাওয়া কিশোরী ও তার নানি উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বালিকান্দি গ্রামের ফারুক মিয়ার পরিচয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্যমতে খোঁজ নিয়ে তাদের সন্ধান মেলেনি।

রাশিয়া বেগম জানান, এশার আজানের সময় আমি শিশুটিকে সিঁড়িতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন আমি হাসপাতালে শিশুটির যত্ন করছি। রাশিয়া বেগম চার দিন আগে তার নাতিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শারমিন আরা আশা জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পুলিশ এখনো আমাদের ওই কিশোরী ও তার নানির কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুটিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। শিশুটি সুস্থ রয়েছে।

কলকলিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল হাশিম জানান, বালিকান্দি গ্রামে খোঁজ করে ওই কিশোরী ও তার নানিকে পাওয়া যায়নি। মনে হয় হাসপাতালে ভুল তথ্য দিয়ে ভর্তি হয়েছিল তারা।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুটির বাবা-মায়ের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছি। এখানো সন্ধান পাওয়া যায়নি।