শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজ গ্রেফতার ! গোপালপুর পিপিই পড়ে চাঁদাবাজি

করোনা ভাইরাসের ভয়ে পিপিই পড়ে এখন সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। এমন অভিযোগে গত শনিবার আনিসুর রহমান আনিস (৩৮) নামক এক চাঁদাবাজকে হাতনাতে আটক করে আদালতে চালান দিয়েছে গোপালপুর থানা পুলিশ। আনিস গোপালপুর পৌরসভার কোনাবাড়ী গ্রামের মৃত মাজম আলীর ছেলে। পুলিশের দাবি, আনিস একজন পেশাদার অপরাধী। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দাঙ্গাহাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অপরাধে আদালতে ৬ টি মামলা চলমান রয়েছে। জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নদীর নাব্যতা পুনরুদ্ধার, পানিপথে যোগাযোগ চালু এবং দূষণ প্রতিরোধে বহুল প্রত্যাশিত উত্তর টাঙ্গাইলের বৈরাণ নদী খনন করছে। গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ফেজে ২৮ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু হয়। আগামী জুনের দিকে এ খনন কাজ শেষ হবে। এ নদী খননের দায়িত্বে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাজ, এলএটিটিএস লিমেটেড এবং পিবিএল কোম্পানী লিমেটেড। বর্ষার পূর্বে নদী খননের বাধ্যবাদকতা থাকায় উপজেলার হাদিরা বাজার থেকে গোপালপুর পৌরসভার মেথরপট্রি পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার নদী খননের কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছে খননের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলএটিটিএস লিমেটেড। কিন্তু নদী খননের শেষ প্রান্তে কাজ সম্পন্নে বাঁধা দিচ্ছে সন্ত্রাসী আনিস ও তার দলবল। প্রকল্পের ম্যানেজার মতিয়ার রহমান গত শনিবার গোপালপুর থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, সন্ত্রাসী আনিস পেস্ট রঙের পিপিই পড়ে অপর ৪/৫জন সহযোগিকে নিয়ে ওই দিন সকাল দশটায় এক লক্ষ টাকার চাঁদার দাবিতে মেথরপট্রি এলাকায় নদী খনন কাজে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে প্রকল্প ম্যানেজার মতিয়ার রহমানসহ খনন কাজে নিয়োজিত ৪/৫ জনকে বেদম মারপিট করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে সন্ত্রাসী আনিসকে হাতনাতে আটক করে। অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস জানায়, চাঁদার দাবিতে নদী খননে বাঁধা দেয়ায় ঠিকাদারের পক্ষ থেকে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করার খবর তারা পেয়েছেন।